পাকিস্তানের সাদা বলের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গ্যারি কারস্টেন। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে দুই বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পদে থাকতে পারলেন ছয় মাসেরও কম!
সিলেকশন ক্ষমতা বাতিল হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের নতুন কোচ কারস্টেন, জেসন গিলেস্পি ও বোর্ডের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। কোচরা বাদে সেই ক্ষমতা এখন শুধু নির্বাচক কমিটির হাতে। গিলেস্পি তৃতীয় টেস্টের আগে এই ঘটনা নিয়ে নিজের বিস্ময় লুকিয়ে রাখতে পারেননি। বলেছেন, এখন তিনি কেবল ‘‘ম্যাচ-ডে বিশ্লেষক’’ এবং ‘‘এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হননি।’’
কারস্টেন অবশ্য জনসম্মুখে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তিনি এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে জানা গেছে। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, নতুন দল এবং সীমিত ওভারের নতুন অধিনায়ক ঘোষণার ক্ষেত্রে কারস্টেন তার মতামত দেওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু যখন নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হলো তখন পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভির সঙ্গে ছিলেন নতুন নির্বাচনি কমিটির সদস্য আকিব জাভেদ। এমন সিদ্ধান্তের সময় কারস্টেন তখন দেশেও ছিলেন না।
মূলত বোর্ডের সিদ্ধান্তে কোচরা মনে করেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিটির প্রভাব বৃদ্ধির কারণে তারা উপেক্ষিত! পাকিস্তান যখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হেরে তার পরই নতুন নির্বাচনি প্যানেল ঘোষণা করে পিসিবি। যা তিন মাসে ঘটেছে তৃতীয় বারের মতো!
এটি এখনও স্পষ্ট নয় অস্ট্রেলিয়া এবং জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য কারস্টেনের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন। পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফর ছয় দিনের মধ্যে শুরু হচ্ছে, প্রথম ওয়ানডে ৪ নভেম্বর মেলবোর্নে।