দলে নিঃস্বার্থ ক্রিকেটারদের চান সূর্যকুমার

বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার পর দল নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর সেখান থেকে দলকে নিঃস্বার্থ ক্রিকেট খেলতে দেখাকেই বড় পাওয়া মনে করছেন সূর্য। 

রোহিত শর্মা পরবর্তী যুগে সূর্যর অধীনে এটি ছিল ভারতের দ্বিতীয় সিরিজ জয়। শনিবার এই নিঃস্বার্থ ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। ব্যাট হাতে ২৯ বলে এক পর্যায়ে রান ছিল ৬২। সেখান থেকে ৩৫ বলে রিশাদের দশম ওভারে পাঁচ ছক্কায় তুলে নেন ৯২! তার পর যখন ৯৬ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন মেহেদীর বল মাথার ওপর দিয়ে মেরে পূরণ করেন ৪০ বলের সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে যা কোন ভারতীয় ব্যাটারের দ্বিতীয় দ্রুততম। তার বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতেই স্বাগতিক দল ৬ উইকেটে পায় ২৯৭ রানের স্কোরবোর্ড। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের নজির। অথচ চাইলে শতরান পূরণের আশায় তখন ঝুঁকিপূর্ণ শট না খেলে ধীরেসুস্থে এগিয়ে যেতে পারতেন তিনি। সেটা না করে দলের জন্য ছন্দটা ধরে রেখেছিলেন।  

স্যামসনের সেই ইনিংসের পর সূর্যকুমার পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দল হিসেবে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। সিরিজের শুরুতেই বলেছিলাম, আমার দলে নিঃস্বার্থ ক্রিকেটারদের চাই। আমরা নিজেরা হতে চাই নিঃস্বার্থ। হার্দিক যেমনটা বলেছিল, আমরা একে অপরের পারফরম্যান্স উপভোগ করতে চাই। সেটা হোক মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে। সেই সৌহার্দ্যটা আমরা মাঠে নিয়ে যেতে চাই, উপভোগও করতে চাই।’

স্যামসনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘কেউ দলের চেয়ে বড় নয়। যদি কেউ ব্যাটিংয়ের সময় ৯৯ কিংবা ৪৯ রান নিয়ে থাকে, তখন যদি দলের জন্য বল মারার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে বলটা মারতই হবে। সাঞ্জু সেই কাজটাই করেছে। তার জন্য অনেক ভালো লাগছে।’

দলের ভেতর কোচ গৌতম গম্ভীরের বার্তাও ছিল এমন। সিরিজের শুরুর আগে মন্ত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। একই রকম বার্তা ছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজের বেলাতেও।