বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় আফসোস কী, জানালেন সাকিব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তবুও সুযোগ এসেছিল সেমিফাইনাল খেলার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করতে পারলেই হতো। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগানো তো দূরের কথা, ম্যাচটাই হেরে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আজ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব আল হাসান সেমিফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপের কথা জানালেন।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হতেই দেশে ফিরেছিলেন সাকিব। ব্যক্তিগত ও সংসদ সদস্য হিসেবে কিছু কাজ শেষ করেই আজ রাতের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ওখানে আমেরিকার মেজর লিগে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন। আজ সেখানে খেলতেই দেশ ছেড়েছেন তিনি। জুলাইয়ের ৬ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থাকবে লিগটি। 

সেমিফাইনাল খেলার সুযোগটি হারিয়ে ভীষণ আফসোস ঝরলো সাকিবের কণ্ঠ থেকে, ‘ওটা আমাদের জন্য বড় আফসোস। এটা হলে (সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই) খুবই ভালো লাগতো। খুব বড় একটা অর্জন হতো। সেই জায়গা থেকে আমাদরে জন্য কিছুটা হলে দুঃখজনক।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা কাগজে-কলমে দেশের ইতিহাসের সেরা বটে। তবে মাঠে দলের পারফরম্যান্স অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষাতে ছিল না লড়াইয়ের কোনও ছাপ। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘হয়তো অলআউট খেলতে পারিনি। হয়তো যে ধরনের রেজাল্ট আমরা আশা করছিলাম কিংবা সুযোগ ছিল, ওইভাবে পারিনি। আমাদের হয়তো ইনিশিয়াল টার্গেটটা পূরণ হয়েছে, সেই দিক থেকে আমরা সাকসেসফুল। বাট আসলে যে একটা অবস্থায় ছিলাম, যে জায়গার যাওয়ার সুযোগ ছিল, সে জায়গাটাতে অবশ্যই আমরা যেতে পারিনি। সেটা আমাদের জন্য একটু হলেও হতাশাজনক।’

সাকিব সেমিফাইনালে যেতে না পারাকে হতাশাজনক বললেও কেন যেতে পারলেন না সেই প্রশ্নে টিম ম্যানেজমেন্টের কোর্টেই বল ফেলে দিলেন, ‘এটা তো আসলে বলা মুশকিল। আমি নিশ্চিত যারা নীতিনির্ধারক আছে, তারা ভালো বলতে পারবে। কোচ, ক্যাপ্টেন, টিমের যারা আরও আছেন, ক্রিকেট অপারেশনস বোর্ড এরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিবে বা তারা আলাপ আলোচনা করে বুঝতে পারবে কোন ঘাটতিগুলো ছিল এবং ভবিষ্যতে যেন সেগুলো না থাকে, সেই জায়গাগুলোতে কাজ করবে।’