সাকিবদের বোনাস প্রশ্নে যা বললেন জালাল ইউনুস

নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের নবম বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েও নাজমুল হোসেন শান্তর দলের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সুপার এইট নিশ্চিত করা! বোলারদের কল্যাণে বাংলাদেশ দল তিনটি ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করে। এরপর দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সুপার এইট মিশনকে ‘বোনাস’ হিসেবে দেখছিলেন। বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও ক্রিকেটারদের এই অর্জনে স্তুতি গাইলেন। আজ শনিবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও নিজের সন্তুষ্টির কথা জানালেন! এমন খুশিতে সাধারণত ক্রিকেটারদের বোনাস দেওয়ার রীতি আছে, তাহলে কি সাকিব-তামিমরা এমন পারফরম্যান্সের পরও বোনাস পাচ্ছেন?

জালাল ইউনুস এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘বোনাসটা আমি বলতে পারছি না। এই সময় কী ধরনের বোনাস দেওয়া উচিত বা দিবে এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত।’

বিশ্বকাপে দলের লক্ষ্য নিয়ে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমাদের একটা টার্গেট ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইট) কোয়ালিফাই করা। সেদিক দিয়ে আমরা কোয়ালিফাই করেছি। অবশ্যই এটা ইতিবাচক দিক যে টার্গেটে পৌঁছাতে পেরেছে। দুইভাগে যদি ভাগ করি, তাহলে একদিক দিয়ে টার্গেটে পৌঁছাতে পারায় সবাই খুশি। এরপর যা ছিল ওভারঅল পারফরম্যান্স। যদি আপনি ব্যাটিং আর বোলিংয়ে বলেন, আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা ভালো ব্যাট করিনি। প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের চারটিতেই কিন্তু আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে খুব ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। টপ অর্ডারে নিয়মিতি ধস নেমেছে বলে আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি।’

বাংলাদেশ যে তিন ম্যাচ জিতেছে, তার সবকটিতেই বড় অবদান ছিল বোলারদের। এক তাওহীদ হৃদয় ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই বলার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার কারণ খুঁজবে বিসিবি, ‘টপ অর্ডার টানা ব্যর্থ হয়েছে বলেই আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে এভাবে ফেইল করতে আমি কখনও দেখিনি। হয়তো একজন করেছে, আরেকজন ওই জায়গায় গিয়ে কাভার দিয়েছে। কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।’