শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবি কী ভাবছে?

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, এই তো গত ফেব্রুয়ারিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে বাংলাদেশের সব ফরম্যাটেরই অধিনায়ক করা হয়। নেতৃত্ব পেয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে অতটা কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসল পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল শান্তকে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে পুরোপুরি সফল বলাও যাচ্ছে না। আবার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও তলানিতে। ৯২ স্ট্রাইকরেটে বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ১১২ রান। বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলো বোর্ড। 

শনিবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, ‘আমরা শান্তকে ম্যান্ডেট দিয়েছি এক বছরের জন্য। এখন পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। তাসকিন শুরু করেছে ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে। আমার মনে হয়, সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে অধিনায়ক পরিবর্তন হবে কি না, ভবিষ্যতেও হবে কি না, এই বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করতে পারবো না। সবকিছু বোর্ডের সিদ্ধান্তে হয়। শান্তকে আমরা এই বছরের জন্য ম্যান্ডেট দিয়েছি। বাকিটা বোর্ডের ইচ্ছা।’

বিশ্বকাপে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর বাজে ফর্ম। এই দুই ক্রিকেটারের ভবিষ্যত নিয়ে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কারও নাম উল্লেখ করে বলছি না, যারা পারফর্ম করে সামনে আসবে তারাই খেলবে। এখন যারা খেলছে তারা সবাই পারফর্ম করেই এসেছে। যারা টি-টোয়েন্টি দলে গিয়েছে প্রত্যেকেই সামর্থ্য দেখিয়েই টিমে ছিল। দলের মধ্যে পারফরম্যান্সকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।'

সাকিবের অবসর প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘এই ধরনের কোনও আলোচনা হয়নি। সে তো তিন ফরম্যাটেই খেলছে। সামনে দেখা যাক তিন ফরম্যাটে যে খেলাগুলো আছে, সেখানে তো অবশ্যই খেলবে।’