ফাইনাল জিততে ক্ষুধার্ত দক্ষিণ আফ্রিকা!

আগের সাতবার আইসিসি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেললেও সেই বাধা কখনই পার হতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অষ্টমবারের চেষ্টায় অবশেষে সফল তারা। স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের এমন সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চাইবে না। প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেনর মারক্রামও জানালেন, জয়ের প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়েই প্রথম শিরোপা জয়ের খোঁজে ভারতের বিপক্ষে তারা মাঠে নামবে।

এবার বেশ কিছু ম্যাচে শঙ্কা জাগলেও শেষ হাসি ছিল প্রোটিয়াদের। শেষ দিকে ভেঙে পড়ার সেই চিরচেনা রূপটা ছিল না। তাইতো এই টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা অপ্রতিরোধ্য এবং অপরাজিতও। ফাইনালের আগেই যেমন জানালেন, ইচ্ছাশক্তি আছে বলেই জয়ের জন্য তারা ভীষণ ক্ষুধার্ত, ‘আসলে জয়ের জন্য আমাদের ভীষণ ইচ্ছাশক্তি কাজ করছে। যদিও মনে করি না বিষয়টা হতাশার কোনও পর্যায়ে। তবে বিষয়টা হচ্ছে জয়ের জন্য আমরা ভীষণ ক্ষুধার্ত।’

অতীতে ব্যর্থতা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সেসব অভিজ্ঞতাকে মোটেও খাটো করে দেখছেন না মারক্রাম। তার চোখে সেগুলো বরং প্রেরণার, ‘যেভাবে চেয়েছি অতীতে আদর্শ কোনও কিছুই বৈশ্বিক মঞ্চে আমরা পাইনি। আর এখান থেকেই হয়তো চূড়ান্তভাবে অর্জনের শক্তিটা ছেলেদের মাঝে বয়ে যাচ্ছে।’

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দলীয় নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে কুইন্টন ডি কক যেমন টপ অর্ডারে ২৫.৫০ গড়ে ২০৪ রান করেছেন। ডেভিড মিলারও যোগ করেছেন ১৪৮। গড় ২৯.৬০। বল হাতে আইনরিখ নর্কিয়া, কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসি; সবারই উইকেট শিকারের সংখ্যা পৌঁছেছে ডাবল ফিগারে। মারক্রাম জানালেন, ‘পুরো দলের অগ্রযাত্রা মোটেও কোচ কিংবা অধিনায়কের দ্বারা হয়নি। পুরোটাই হয়েছে পুরো দলের জয়ের ক্ষুধা থেকে। আর ক্রীড়াক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ফলে ফাইনালের মতো মঞ্চে কেউ কোনও একটা পরিস্থিতিতে হারতে চাইবে না। আমার মনে হয় ছেলেরা ফাইনালে উঠেই সন্তুষ্ট ব্যাপারটা তেমন না। শনিবারের ম্যাচ জয়ের ক্ষুধা নিয়েই তারা মাঠে নামবে।’