শুধু সৌম্য নয়, সবার ব্যাটিং নিয়েই চিন্তিত হাথুরুসিংহে

বাংলাদেশের টি-টোন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগ থেকেই টপ অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল অনেক। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পরও সেটা কাটেনি। টুর্নামেন্ট ওপেনারে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে টপ অর্ডার ব্যাটারদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হারতে বসেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। লঙ্কানদের বিপক্ষে লিটন রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও সৌম্য সরকার আর অধিনায়ক শান্তর অবস্থার উন্নতি হয়নি। সার্বিক অবস্থায় হেড কোচ হাথুরুসিংহে অবশ্য শুধু সৌম্য সরকারকে নিয়েই নন, টপ অর্ডারের সবার ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

ডালাসে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সৌম্য ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছিলেন। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার করা প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন তিনি। অহেতুক শটে মিড অনে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। তাতে ১৩তম ডাক নিয়ে বিব্রতকর এক রেকর্ডের সঙ্গীও হয়েছেন 

এদিকে অধিনায়ক শান্তর অবস্থাও নাজুক। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগেই রান খরায় ভুগছিলেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রেও। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে কেবল একটি ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। এরপর ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন। ডালাসে লঙ্কানদের বিপক্ষেও খেলেছেন ৭ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে টপ অর্ডারে শান্তর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। 

আর ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও সৌম্য শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তার ব্যাপারে হাথুরুসিংহের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘শুধু সৌম্য না, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলছি। তাদের খেলা, শক্তির জায়গাগুলো, প্রতিপক্ষ, তারা কী চায়; সবকিছু নিয়েই কথা হয়। কিন্তু এরপর মাঠে গেলে, ওখানে শুধু তারাই থাকে। তাদের নিজেদের খেলাটা বুঝতে হবে আর কী অনুভব করছে সেটাও। এখানে টেকনিক্যাল কোনও ব্যাপার নেই।’

হাথুরুসিংহে আরও বলেছেন, ‘কেবল তার (সৌম্য) ব্যাপার না, বাকিরাও যেভাবে আউট হয়েছে, এখানে কিছু করার নেই। আমার মনে হয় তাদের স্থির হয়ে নিজেদের শক্তির জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে, কোনটা তারা ভালো করে এমনকি না ভেবেই বের করতে হবে। যখন আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে, স্বাভাবিকভাবেই আপনি অটো মুডে চলে যাবেন। আপনাকে কেবল গিয়ে নিজের শক্তির জায়গা চিন্তা করে খেলতে হবে। যেকোনও ব্যাটারের জন্যই এটা বার্তা। ’