১১৯ রান করেও পাকিস্তানকে হারিয়ে যা বললেন ভারত অধিনায়ক

বৃষ্টির চোখ রাঙানি ছিল নিউ ইয়র্কে। নেমেছিল বৃষ্টি। নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পরও শুরু হয়নি খেলা। যখন বৃষ্টি থেমে খেলা শুরু হলো, কিছুক্ষণ যেতেই পাকিস্তানি বোলারদের উৎসব। ভারত যেন কোমর সোজা করে দাঁড়াতেই পারছিল না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউট তারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে প্রথমবার ১০ উইকেটের সবগুলো হারায় ভারত। কিন্তু ১১৯ রান করেও দারুণ লড়াইয়ে ম্যাচটা ৬ রানে জিতে নিয়েছে তারা।

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে হতাশা লুকাননি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ‘আমাদের ব্যাটিং যথেষ্ট ভালো হয়নি। তবে আমার মতে প্রথম ১০ ওভার শেষে আমরা ভালো একটা অবস্থানে ছিলাম। আপনি চাইবেন, খেলোয়াড়রা ভালো একটা জুটি গড়ুক। আমরা ১৫-২০ রান কম করেছিলাম, কিন্তু প্রতিটি রান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের চোখ ছিল ১৪০ রানের দিকে। কিন্তু বোলাররা ভালো কাজ করেছে। এখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা আগের ম্যাচের চেয়ে উইকেটটা তুলনামূলক ভালো ছিল।’

দলের দৃঢ় মানসিকতা ছিল বলেই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে ভারত। রোহিত বললেন, ‘হার মানবো না, এমন মনোভাব দলের মধ্যে আছে। মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি। আমরা শুরুতেই ধাক্কা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। তবে ম্যাচ অর্ধেক হওয়ার পর আমরা বিশ্বাস করলাম, আমাদের ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে, সেটা তাদের বেলাতেও ঘটতে পারে।’

দলের প্রত্যেকের অবদানকে সমানভাবে দেখছেন অধিনায়ক। তবে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পারফর্ম করা যশপ্রীত বুমরাকে আলাদাভাবে তুলে ধরলেন তিনি, ‘প্রত্যেকের কাছ থেকে ছোটখাটো অবদান পার্থক্য তৈরি করে। বল হাতে প্রত্যেকে পার্থক্য গড়তে চায়। বুমরা দিনকে দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমি তাকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে যাচ্ছি না। একই মানসিকতা নিয়ে বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত আমরা তাকে চাই। সে বল হাতে দারুণ এক প্রতিভা।’

বিশ্বকাপের আগ দিয়ে দর্শকদের উন্মাদনার ঘাটতি দেখে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ভারতের ক্যাম্পে। কিন্তু হাইভোল্টেজ ম্যাচে তাদের আগমনে রোমাঞ্চিত রোহিত, ‘দর্শকরা ছিল অসাধারণ। তারা কখনও হতাশ করে না, আমরা বিশ্বের যেখানেই খেলি না কেন তারা সংখ্যায় অগণিত হয় এবং আমাদের সমর্থন করে। তারা মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরছে। টুর্নামেন্টের কেবল শুরু, এখনও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদেরকে।’