সুপার ওভারে ডেভিড ভিসার বীরত্বে ওমানকে হারালো নামিবিয়া

প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে টুর্নামেন্ট। টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে যে কেউ নিশ্চিত ফেভারিট নয় তারই প্রমাণ মিললো আজ। লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও শেষ দিকে রোমাঞ্চকর লড়াই উপহার দিয়েছে ওমান-নামিবিয়া। সেই লড়াইয়ে সুপার ওভারে জিতেছে নামিবিয়া।

নামিবিয়া শুরুতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক ভাবেই করতে পেরেছে। ওমানকে ১৯.৪ ওভারে গুটিয়ে দেয় ১০৯ রানে! দুই ব্যাটার জিশান মাকসুদের ২২ ও খালিদ খৈলের ৩৪ রানই ছিল উল্লেখ করার মতো।

বল হাতে নামিবিয়ার হয়ে ২১ রানে চারটি উইকেট নিয়েছেন রুবেন ট্রাম্পেলমান। ২৮ রানে তিনটি নিয়েছেন ডেভিড ভিসা। দুটি নিয়েছেন গেরহার্ড এরাসমাস।  

জবাবে একটা পর্যায় পর্যন্ত নামিবিয়া নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ৭৩ রানে অধিনায়ক এরাসমাসের বিদায়ের পর দ্রুত কিছু উইকেট পড়লে পথ হারাতে শুরু করে তারা। শুরু থেকে প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ৪৫ রানে ফিরলে পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায় আরও ভীতিকর।   

তার পর ওমান টাইট লেংথের বোলিংয়ে তাদের এমনভাবে আটকে দেয় শেষ ওভারে জিততে পারবে কিনা সেটাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। তার পরেও ডেভিড ভিসার লড়াইয়ে কোনও রকমে টাই করে ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যায় তারা। অবস্থা এমন ছিল শেষ বলে প্রয়োজন দুই রান। স্নায়ুর চাপে তখন দুই দল। মেহরান খানের ডেলিভারিটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি ভিসা। বল কিপারের কাছে গেলেও তিনি বলটা গ্লাভসে জমাতে পারেননি। তখন কোনও দিক না তাকিয়ে টাই করার জন্য রান নিতে ছুটেন দুই নামিবিয়ান ব্যাটার। ওমান কিপার তখন স্টাম্প ভাঙার মতো বীরত্বও দেখাতে পারেননি।    

অথচ সর্বশেষ চার আসরে সুপার ওভার নামক ভাগ্য পরীক্ষার এই লড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যায়নি। নামিবিয়া শেষ হাসি হেসেছে সেখানেই।  

সুপার ওভারে নামিবিয়ার জয়ের নায়ক ডেভিড ভিসাই। তার ব্যাটেই ৬ বলে আসে ২১ রান। জবাবে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেট হারিয়ে ওমান করতে পারে মাত্র ১০ রান। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন এই অলরাউন্ডারই।