হোম গ্রাউন্ডে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচ জয়ের নায়ক তানজিদ হাসান তামিম। ব্যাট হাতে খুলনা টাইগার্সের বোলারদের একাই শাসন করে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ইনিংসটি উৎসর্গ করেছেন ভাগনেকে। আর দলের জয়টি উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষা শহীদদের।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে জুনিয়র তামিম জানিয়েছেন, ‘প্রথমত আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে আমাদের। সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্লে-অফ নিশ্চিত করেছি, এটা সবচেয়ে ভালো বিষয়। দলের সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই এই জয়টা ভাষা শহীদদের উৎসর্গ করেছে। তো আমরা সবাই অনেক খুশি। যারা আমাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা এই জয়টা উৎসর্গ করছি।'
বিপিএলে প্রতি ম্যাচেই ভালো শুরু পাচ্ছিলেন, কিন্তু ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারছিলেন না তানজিদ। মঙ্গলবার খুলনার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই ওপেনার। ক্যারিয়ারে যে কোনও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরি তিনি উৎসর্গ করেছেন তার ভাগনেকে, ‘আমার ছোট একটা ভাগনে আছে। সবসময় ওর সঙ্গে কথা হয়, ম্যাচের আগের দিন, মাঠে আসার আগেও। ছয় বললে ছয় দেখায়, আউট বললে আউট দেখায়। আমার সেঞ্চুরিটা ওকে উৎসর্গ করতে চাই।’
মঙ্গলবার সেঞ্চুরি করে বিপিএলের রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে উঠে গেছেন তানজিদ। শীর্ষে উঠে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তিনি এভাবে, ‘এর আগেও আমি বলেছি যে, জিনিসটা নিয়ে আমি ভাবি না। আমি চেষ্টা করি দলের জন্য আমার নিজের সেরাটার দেওয়ার। আমি শুধু আমার জোনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। প্রথমে আমাদের একটা-দুইটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আমি আর ব্রুস চেষ্টা করেছি সেখান থেকে একটা জুটি গড়ার। আমরা দুইজন ভালোভাবে করতে পেরেছি। আমি সবসময় অপেক্ষা করেছি বাজে বলের জন্য। আমার জোনে যেটা ছিল, সেটাতে শট খেলেছি।'
বিপিএলে দুর্দান্ত খেলে নাঈম শেখ-এনামুল হক বিজয়রা জায়গা করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দলে। বিশ্বকাপের পর তানজিদ আর সুযোগ পাননি। ৩৮২ রান নিয়ে তিনি আছেন শীর্ষে। তবে সুযোগ না পাওয়াতে কোন আফসোস নেই তার, ‘কখনোই আফসোস নেই। তারা যেটা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমার কাজ রান করা, পারফর্ম করা। আমি সেটাই করে যাবো, বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।’