ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ ভারতের

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের ব্যাটিং পিচের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেছিল ভারত। শেষ ১০ ওভারে ৯৪ রান নেয় তারা। ওখানেই যেন জয়ের ভিত তৈরি হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্রুত টপ অর্ডার ব্যাটারদের হারিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০০ রানের জয়ে ২-১ এ ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি হাতে নিলো হার্দিক পান্ডিয়ার ভারত।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইশান কিষাণ ও শুবমান গিলের ১৪৩ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে ভারত। ইশান ৭৭ রানে আউট হওয়ার পরপর রুতুরাজ গায়কোয়াড় দ্রুত ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তবে সাঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে শুবমানের আরেকটি চমৎকার জুটি। 

দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেন। স্যামসন ৪১ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৫১ রানে থামেন। শুবমানও তার পথে হাঁটেন, তার আগে ৮৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন।

শেষ দিকে হার্দিক ও সূর্যকুমার যাদবের ছোট্ট তাণ্ডবে সাড়ে তিনশ ছাড়ায় ভারতের স্কোর। হার্দিক ৫২ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ার পথে ৩৫ রান করেন সূর্য। ভারত ৫ উইকেটে করে ৩৫১ রান।

জবাব দিতে নেমে ৩ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় উইন্ডিজ। অধিনায়ক শাই হোপকে নিজের চতুর্থ ওভারে তৃতীয় শিকার বানান মুকেশ কুমার। জয়দেব উনারকাট নিজের প্রথম ওভারে কিসি কার্টিকে আউট করেন। তাতে ১১তম ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৫ রান। 

পরের ধাক্কা দেন শার্দুল ঠাকুর। শিমরন হেটমায়ার ও রোমারিও শেফার্ডকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি। অ্যালিক অ্যাথানেজ (৩২), ইয়ানিক কারিয়াহ (১৯), আলজারি জোসেফ (২৬), গুডাকেশ মোটি (৩৯) অবদান না রাখলে উইন্ডিজের অবস্থা আরও খারাপ হতো। ৩৬তম ওভারে ১৫১ রানে অলআউট তারা।

শার্দুল সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। তিনটি পান মুকেশ।