রোমাঞ্চকর অ্যাশেজ সিরিজ নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: স্টোকস

ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি বাগড়া না দিলে কী হতো! ইংল্যান্ডের জয় ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বে। কিন্তু বৃষ্টি বড় বাঁচা বাঁচিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ওই ড্রয়ে নিশ্চিত হয় অ্যাশেজ হারাচ্ছে না অজিরা। শেষ ম্যাচ হলো ওভালে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সফরকারীদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন জ্বলজ্বল করছিল চা বিরতি পর্যন্ত। কিন্তু নাটক হলো শেষ দিকে। মঈন আলী ও স্টুয়ার্ট ব্রডে কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড জিতে গেলো ৪৯ রানে। সিরিজ ২-২ এ ড্র। এমন নাটকীয়তায় ভরা ছিল পুরো সিরিজ। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস তাই বললেন, এই রোমাঞ্চকর সিরিজ নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে।

বার্মিংহ্যামে প্রথম টেস্টই তো ছড়িয়েছিল তুমুল উত্তেজনা। প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নের নবম উইকেটের অনবদ্য জুটিতে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে দ্বিতীয় ম্যাচও ইংল্যান্ড হারে। তবু দমে যায়নি স্বাগতিকরা। তৃতীয় টেস্টে হ্যারি ব্রুকের প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়েছিল, যার প্রতিফলন ম্যানচেস্টারে দেখা গেছে। কিন্তু বৃষ্টি তাদের হতাশ করে। আর শেষ টেস্টে ৩৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ইংল্যান্ড যেন পথহারা পথিক। ৩ উইকেটে ২৬৪ রানে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। সেই দলকে ৩৩৪ রানে অলআউট করে জয় ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ড।

আনন্দচিত্তে স্টোকস বললেন, ‘দুটি খুব, খুব ভালো দলের লড়াই শেষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-২ ন্যায্য ফলের প্রতিফলন। এই সিরিজে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নস হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এসেছিল। যে ক্রিকেট হয়েছে, আমি মনে করি সর্বোচ্চ মানের।’

প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে গর্বিত ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘যেভাবে আমরা খেলেছি, আমি এই দলকে নিয়ে এর চেয়ে বেশি গর্ব করতে পারি না। গত ১৪-১৫ মাস ধরে যে স্টাইলে খেলেছি, সেটাই করে গিয়েছি।’

স্টোকসের আশা, এই সিরিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। অধিনায়ক বলেন, ‘গত সাতটি সপ্তাহ ধরে যা হয়েছে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে নতুন দর্শকগোষ্ঠীকে টানতে পেরেছি। আমি মনে করি, টেস্ট ক্রিকেটে যেমন দরকার, তেমন সিরিজই হয়েছে। দুটি সেরা মানের দল ছয়-সাত সপ্তাহ ধরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে এবং যেমন ক্রিকেট হয়েছে, আপনি সত্যিই চোখের পলক ফেলতে পারবেন না। আমি সত্যিই আশা করি আমরা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছি।’

নিজের উদাহরণও টেনেছেন তিনি, ‘আমি ২০০৫ সালের (যখন ইংল্যান্ড ২-১ এ অস্ট্রেলিয়াকে হারায়) দিকে ফিরে তাকাই। একজন তরুণ হিসেবে ওই সিরিজ আমার মনে কী প্রভাব ফেলেছিল! আমি সত্যিই আশা করি, ২০০৫ সালের আমার বয়সীর মতোই কেউ এই সিরিজ দেখেছে এবং বলছে ‘আমিও চাই ২১, ২২ বছর বয়সে এমন কিছু করতে চাই।’