ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে ফারজানার ইতিহাস  

প্রথম ওয়ানডে জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। ভারতের বিপক্ষে প্রথম কোনও ওয়ানডে জেতার নজির ছিল এটি। এই ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে তৃতীয় ওয়ানডেতে আরেকটি প্রথমেরও দেখা মিললো। বাংলাদেশের হয়ে মেয়েদের ক্রিকেটের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন ফারজানা হক। ছেলেদের ক্রিকেটে যেমন মেহরাব হোসেন অপি ওয়ানডের প্রথম সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়েছেন। ঠিক তেমনি ইতিহাসে নাম লেখালেন ফারজানা। 

স্বীকৃত ওয়ানডেতে এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরটি ছিল সালমা খাতুনের (৭৫*)। ২০১৩ সালে এই ভারতের বিপক্ষেই ইনিংসটি খেলেছিলেন। তাছাড়া ২০২১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শারমিন আক্তার ১৩০* রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও সেটি স্বীকৃত ওয়ানডে ছিল না। সেটি লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।    

প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতলেও দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারতীয় দল। ফলে এই ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণী। তবে দুই দলই মনে করছে, আজ সিরিজ জিততে ভাগ্য গড়বে ব্যাটিং। মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকদের সেই ব্যাটিংয়ের বিজ্ঞাপন হয়ে থাকলেন ফারজানা। ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই ৪ উইকেটে ২২৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ দল। যা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।  

ফারজানার সেঞ্চুরি উদযাপন। আগের দুই ওয়ানডের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শুরুটা দারুণ ছিল স্বাগতিকদের। ধীর গতির হলেও ওপেনিং জুটিতে ফারজানা-শামিমা মিলে ৯৩ রান যোগ করেছেন। পরে এই জুটিই দুইশ প্লাস রানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। শামিমা হাফসেঞ্চুরির পর ৫২ রান করে আউট হয়েছেন। তার ৭৮ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার। তার পর ফারজানা ছিলেন ইনিংসের মূল চালিকা শক্তি। নিগারকে নিয়ে যোগ করেন ৭১ রান। অধিনায়ক নিগার ২৪ রানে ফিরলে রিতু মনি বিদায় নেন মাত্র ২ রানে। তখন আবার সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে ফারজানা ৫৬ রানের ইনিংসে দুইশ ছাড়ান দলের স্কোর। ইনিংসের শেষ বলে ফারজানা রান আউট হলে ২২৫ রানে থেমেছে স্বাগতিকদের স্কোর। ১০৭ রানে বিদায় নেওয়ার আগে ১৬০ বলে ৭টি চারে সাজানো ছিল ফারজানার ইনিংস। সোবহানা অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে। তার ২২ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার। ভারতের হয়ে ৪৫ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন স্নেহা রানা। ৪২ রানে একটি উইকেট দেবিকা বৈদ্যর।