এসব ম্যাচের পরিসংখ্যান ঘাটলে পাঠকরাও এর সঙ্গে দ্বিমত করবেন না হয়তো। অবশ্য শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিল্ডিংয়ের মুন্সিয়ানা বোঝানো সম্ভব নয়! কেননা পরিসংখ্যানে কোথাও উল্লেখ নেই, নাজমুল ঠিক কতগুলো রান সেভ করেছেন। প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে শুক্রবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত সব সেভ করেছেন তিনি। রীতিমতো আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং দিয়ে ভড়কে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদেরকে!
এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আরিফ শেখকে নিয়েও বড় স্কোরের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক রাজু রিজাল। ৮০ বলে ৭২ রান তুলে ফেলা রাজুকেও রানআউট করে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। এরপরই স্বস্তি ফিরে আসে বাংলাদেশের শিবিরে।
শুধু এই ম্যাচে নয় ‘রান আউটের মাস্টার’ নাজমুল হোসেন শান্ত গ্রুপ পর্বেও বেশকিছু রান আউট করেছেন। তার ক্ষীপ্র গতির ফিল্ডিংয়ের কাছে পরাস্ত হয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে পুরোপুরি নিজের দক্ষতায় রান আউট করান ৩ নম্বরে নামা ওয়াইজ শাহকে।
এছাড়া চলতি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন তুখোড় এই ফিল্ডার। এর মধ্যে বেশ কিছু ক্যাচ ছিল দর্শণীয়।
শুধু রান আউটের মাস্টার নন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরই মধ্যে চলতি টুর্নামেন্টের ৩ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে ২০০ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ৩ ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচেই পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
/আরআই/এফআইআর/