আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৫ সালে আবির্ভাবের পর আলোড়ন তুলেছিলেন মোস্তাফিজ। টানা দুই বছর ফর্মের তুঙ্গে থাকলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ ইনজুরি থেকে ফিরে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। তবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আবার স্লোয়ার-কাটারে পুরনো সেই ধার ফিরে পেয়েছেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্টেই বাঁহাতি এই পেসার প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন।
২০১৮-১৯ সালের বিপিএলে সাকিব ২৩ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত যেকোনও পর্যায়ের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এক আসরে এটাই সর্বোচ্চ উইকেট। এবার মোস্তাফিজের সামনে সুযোগ ছিল সাকিবকে টপকে যাওয়ার। সেটি না হলেও দারুণ বোলিংয়ে ১০ ম্যাচে মাত্র ৬.২৫ ইকোনমি ও ১১.০৪ গড়ে ২২ উইকেট শিকার তার।
মোস্তাফিজের এমন বদলে যাওয়ার বিশেষ কোনও রহস্য নেই। করোনাকালের লম্বা বিরতিতে ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, যার ফল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে পেয়েছেন তিনি, ‘করোনার বিরতির সময়টাতে আমি চিন্তা করেছি কীভাবে ফিট থাকতে পারি? আমি জিম এবং রানিংয়ের চেষ্টা করেছি। এমন চেষ্টার পর ফল পেয়ে এখন খুব ভালো লাগছে।’
মোস্তাফিজ জানালেন, করোনার সময় কেবল তিনিই ফিটনেস নিয়ে বাড়তি কাজ করেননি, অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছেন, ‘শুধু আমার কথা বলছি না। ব্যাটসম্যান বলেন, বোলার বলেন- সবাই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছে। করোনার এই ৬ মাস সবাই বসে ছিল। খেলা শুরু হওয়ার আগে সবাই যে কাজগুলো করেছে, সেগুলোর ফল এখন অনেকেই পাচ্ছে।’