সোমবার ১৭ ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাইফ হাসান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ছাড়া বাকিদের নিয়ে বুধবার শুরু হয়েছেন অনুশীলন। আগের মতোই ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করলেও গত কিছুদিন ধরে সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। বুধবারও ক্রিকেটাররা নিজেদের সিডিউল অনুযায়ী অনুশীলন করেছেন। নেটে টানা বোলিং করেছেন তাসকিন-মিরাজ-আমিনুলরা। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাও ঘাম ঝরিয়েছেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে দুটি জোনে ভাগ করার উদ্দেশ্য মূলত ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা। রেড জোনে মূলত তাদের রাখা হয়েছে যাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। রোড জোনে থাকা ব্যক্তিদের গ্রিন জোনে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।
আর গ্রিন জোনে ক্রিকেটার ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অবাধে চলতে পারবেন। গ্রিন জোনের আওতায় রয়েছে স্টেডিয়াম, ড্রেসিং রুম, ইনডোর ও জিমনেশিয়ামের মতো অবকাঠামো। গ্রিন জোনের ব্যক্তিরাও রেড জোনে যেতে পারবেন না। এই কারণে জোন অনুযায়ী অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও করে দিয়েছে বিসিবি।
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা পুরো স্টেডিয়ামকে গ্রিন ও রেড জোনে ভাগ করেছি। গ্রিন জোন মানে যে জায়গাগুলোতে প্লেয়াররা চলাফেরা করবে। এই জোনে যেতে অবশ্যই গ্রিন কার্ডধারী হতে হবে। আবার যাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন নেই তারা রেড জোনে থাকবে। এই জোনের ব্যক্তিদেরও আমরা রেড কার্ড করে দিয়েছি।’
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর হোটেলে ওঠার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষা হবে। ওই পরীক্ষায় উতরে যাওয়া খেলোয়াড়-স্টাফরা হোটেলে উঠতে পারবেন। এরপর দেশ ছাড়ার আগে আরও দুইবার করোনা পরীক্ষা দিয়ে ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কাগামী বিমানে উঠতে হবে।