পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারার দুঃখ তাহিরের

দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহিরজন্ম তার পাকিস্তানে, বেড়ে ওঠাও সেখানে। এমনকি পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক ও ‘এ’ দলের হয়েও খেলেছেন, কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি ইমরান তাহিরের। জন্মভূমির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ না পাওয়ায় ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে থাকা এই স্পিনারের ভীষণ দুঃখ।

আন্তর্জাতিক আঙিনায় তাহির খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে। ২০০৬ সালে আফ্রিকার দেশটিকে পাড়ি দিয়ে অভিষেক ২০১১ সালে। সীমিত ওভারে দলটির অপরিহার্য সদস্য হতে সময় লাগেনি এই লেগ স্পিনারের। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো স্পিনারের সংখ্যা যেহেতু কম, সেই জায়গাতেই বাজিমাত করেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ২০ টেস্ট, ১০৭ ওয়ানডে ও ৩৮টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তাহির। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো একটা জায়গাও তৈরি করেছেন তিনি। এরপরও তার আক্ষেপ আছে জন্মস্থান পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারায়। জিও সুপারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই স্পিনারের কণ্ঠে তারই প্রতিফলন, ‘আমি লাহোরে খেলে অভ্যস্ত ছিলাম। আজ আমি যেখানে আছি, তার বড় কৃতিত্ব লাহোরের সেই দিনগুলো। পাকিস্তানেই আমি আমার সব ক্রিকেট খেলেছি, কিন্তু (জাতীয় দলে) খেলার সুযোগ হয়নি, যেটা আমাকে কষ্ট দেয়।’

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাহিরের অভিষেক ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কার আসরে হয়েছিলেন প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আফ্রিকার দেশটির হয়ে খেলার সুযোগটা তৈরি হয়েছিল তার স্ত্রী সুমাইয়া দিলদারের কল্যাণে। এজন্য পুরো কৃতিত্ব স্ত্রীকেই দিচ্ছেন তাহির, ‘পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল। তবে আল্লাহ আমার সহায় ছিলেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার প্রায় সব কৃতিত্বই পাবে আমার স্ত্রী।’

২০১৯ সালের মার্চে তাহির ঘোষণা দেন, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ্বকাপ শেষেই ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন। টেস্টকে আগেই বিদায় বলেছেন, তবে টি-টোয়েন্টি এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন ৪১ বছর বয়সী স্পিনার।