এ প্রসঙ্গে নারী ক্রিকেট দলের ‘মেন্টর’ নাজমুল আবেদিন ফাহিম শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা মেয়েদের জন্য একটা অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট শুরু করবো। এটা করতে পারলে ওই বয়সের মেয়েরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলে ওপরে উঠে আসবে। এছাড়া মেয়েদের জন্য বিসিএলের মতো অঞ্চল ভিত্তিক আরেকটা টুর্নামেন্ট করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। এই টুর্নামেন্ট হতে পারে দুই দিনের ম্যাচের, যেখানে চারটি অঞ্চলে ভাগ হয়ে অংশ নেবে মেয়েরা।’
টুর্নামেন্টটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক হবে কিনা এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব দিতে পারেননি এই অভিজ্ঞ কোচ, ‘এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যে কনসেপ্টের কথা চিন্তা করা হচ্ছে, সেটা করতে পারলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হবে।’
গত শুক্রবার চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে নারী ক্রিকেট দলের ক্যাম্প। আগামী নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে বলে জানালেন ফাহিম, ‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়েরা একটা প্রোগ্রামের মধ্যে থাকবে। প্রোগ্রামের একটা অংশে আট সপ্তাহের ট্রেনিং হবে। ট্রেনিংয়ে তিনটি ভাগ থাকবে। প্রথম ধাপে মেয়েদের ফিটনেস নিয়ে কাজ হবে। এরপর স্কিল অনুশীলন এবং শেষ ধাপে মেয়েরা কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।’ তবে সালমা-রুমানাদের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি তিনি, ‘এখনও আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করি, অক্টোবরের শুরুতে একটা দল পাওয়া যাবে, যাদের সঙ্গে চার-পাঁচটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারবে মেয়েরা। ম্যাচগুলো খেলতে পারলে আমাদের প্রস্তুতিও ভালো হবে।’
বাংলাদেশের মেয়েরা কিছুদিন আগেও পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন না। কিন্তু গত ৬ মাসে এ জায়গায় অনেক উন্নতি করেছেন তারা। ফাহিম জানালেন, ‘ক্যাম্পের প্রথম ধাপে আমরা ফিজিক্যাল ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। আর ফিটনেসের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে পাওয়ার হিটিং। আমাদের দলের চার-পাঁচ জন পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারে। এদের ঠিকমতো তৈরি করতে পারলে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়া যাবে।’