ইমরান মনে করেন ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট এখন অসম্ভব

ইমরান খানসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোয়েব আখতার বা পাকিস্তানের আরও কেউ কেউ প্রায়ই বলেন, বৈশ্বিক ক্রিকেটের স্বার্থেই আবার ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু হওয়া উচিত। কিন্তু ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির পিচ্ছিল পথ বেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা ইমরান খান মনে করেন না ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ খেলার পরিবেশ এখন আছে।  সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী তিনি বরং মনে করেন বর্তমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ‘ভয়ঙ্কর একটা পরিবেশ’ বিরাজ করছে যেখানে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ হতে পারে না।

স্কাই স্পোর্টসের একটি তথ্যচিত্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সোমবার বলেছেন, এই মুহূর্তের পরিস্থিতি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ খেলার জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়, ‘বর্তমান পরিবেশে ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমি যা শুধু ভাবতে পারি, তাহলো ও দেশে এখন যে সরকার ক্ষমতায় আছে তাতে করে ভারতে দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ খেলার জন্য যে পরিবেশ বিরাজমান তা ভয়ঙ্কর।’

২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট সিরিজ আর হয়নি, শুধু সীমিত ওভারের একটি ক্রিকেট সিরিজ পাকিস্তান ভারতে এসে খেলে গেছে  ২০১২ সালে।

১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান ভারতে দুটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে গেছেন। প্রথমবার ১৯৭৯ সালে আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে, ১৯৮৭ সালের সফরে তিনিই ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তার বিবেচনায় ১৯৭৯ সালের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দারুণ পরিবেশ ছিল, ‘ভারতে প্রচুর দর্শক হয়েছে, দুই দেশের সরকার চেষ্টা করেছে যাবতীয় বাধা দূর করে ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করতে। ১৯৭৯ সালে দুই দলের ক্রিকেটেরই তারিফ করতে দেখেছি দর্শকদের।’

১৯৮৭ সালে ভারতে খেলতে গিয়ে আগেরবারের মতো পরিবেশ পাননি বলে জানান ইমরান, ‘১৯৮৭ সালে আমি যখন অধিনায়ক হয়ে ভারত সফর করি, তখন কিন্তু খুব ভালো পরিবেশ পাইনি। দর্শকদের মধ্যে অনেক অসহিষ্ণুতা লক্ষ্য করেছি, কারণ তখন দুই দেশের সরকারের মধ্যে চলছিল টানাপোড়েন।’

তবে ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ভারতীয় দল তার দেশে উষ্ণ অভর্থ্যনাই পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি, যদিও পাকিস্তান সেবার হেরে যায় ভারতের কাছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মনে এতটুকু সন্দেহ নেই যে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দ্বৈরথই ক্রিকেটের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রতিযোগিতা। যা অ্যাশেজের চেয়েও বড়।