বায়ার্ন মিউনিখের সাফল্য মানেই এখন রেকর্ড আর রেকর্ড। সংখ্যায় সংখ্যায় খেলা। ২৪তম বারের মতো ফাইনালে উঠে ২০তম জার্মান কাপ শিরোপা জিতলো কদিন আগেই টানা অষ্টম বুন্দেসলিগা জয়ী বায়ার্ন। আগেই বলা হয়েছে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ডাবল। সব মিলিয়ে কিন্তু ১৩তম বার দ্বৈত মুকুট জিতলো বাভারিয়ানরা।
এতো গেল দলের কথা। এবার ব্যক্তিগত অর্জনের কথা বলা যাক। করোনাভাইরাস ফুটবলকে তিনমাস নির্বাসনে দেওয়ার আগেই আভাস ছিল মৌসুমটা লেভানডস্কির হতে পারে। আজ শনিবার দুই গোল করে মৌসুমে নিজের গোলসংখ্যা নিয়ে গেলেন ৫০ পার করে-৫১ গোল। বায়ার্নের হয়ে মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সার্জে গার্নাব্রির গোল হলো ২০।
১৬ মিনিটে উইংব্যাক ডেভিড আলাবার গোলে প্রথম এগিয়ে যাওয়া বায়ার্ন ব্যবধান দ্বিগুন করে গার্নাব্রির গোলে, ২৪ মিনিটে। বিরতির পর গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার লম্বা শট করেছিলেন। সেটি ধরে লেভানডস্কি গোলমুখে শট করলে লেভারকুসেন গোলকিপার রাদেস্কি হড়বড় করে ঢুকিয়ে দেন নিজেদের জালে, ম্যাচের তখন ৫৯ মিনিট। ৬৩ মিনিটে সভেন বেন্ডার একটি গোল ফিরিয়ে দিয়ে সামান্য আশা জাগান স্বাগতিক লেভারকুসেনদের মনে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। খেলার যে ধারা ছিল, সেটির বিপরীতে গিয়ে অঘটন ঘটানো সম্ভব ছিল না তাদের পক্ষে। শুধু শেষদিকে দুই দল দুটি গোল করে ম্যাচে আরেকটু রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। ৮৯ মিনিটে লেভা নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন পেরিসিচের পাস থেকে। ওদিকে যোগ করা সময়ে হ্যাভার্টজের ওই পেনাল্টি গোল।
‘ডাবল’ জয়ের পর দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে বায়ার্ন। তাদের চোখে এখন ‘ট্রেবল’ জয়ের স্বপ্ন। যেভাবে খেলছে তারা তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ত্রিমুকুটটা এসেও যেতে পারে। আর লেভা? ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে এগিয়ে তো আছেনই, চ্যাম্পিয়নস লিগ তাকে সুযোগ করে দেবে আরও।