‘ধৈর্যের সঙ্গে ভাগ্যের ছোঁয়া প্রয়োজন তামিমের’

সিডন্সের সঙ্গে তামিমবিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজেও দেখা মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের। তার সাবেক গুরু ও বাংলাদেশ কোচ জিমি সিডন্স মনে করেন বাংলাদেশ দলের সেরা ওপেনারের প্রয়োজন ধৈর্য আর কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া।

২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন সিডন্স। এই সময়ে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানকে মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা ছিল তার। এই ত্রয়ীর মাঝে এখন কড়া সমালোচনার মুখে আছেন তামিম।

ঠিকমতো জ্বলে উঠতে না পারার ব্যর্থতায় চাপের মুখে আছেন খুব। এই তামিমের খেলা নিজেও পর্যবেক্ষণ করেছেন সিডন্স। তার দুর্বলতা নিয়ে জিমি সিডন্স বললেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমি দেখেছি তামিম আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত কিন্তু সাবলীল থাকে। প্রথম ম্যাচ যদি দেখেন তাকে আউট করতে দেওয়া হয় দুর্দান্ত এক ইয়র্কার। দ্বিতীয় ম্যাচে যে শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে তার প্রয়োজন ছিল না। অযথা বল প্রয়োগে খেলতে গিয়েছিল। আমার মনে হয় সে খুব অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে।’

তাই তামিমকে খুব বেশি ধৈর্যশালী হতে বললেন তিনি। একই সঙ্গে উন্নতির কিছু কৌশলও বলে দিলেন তামিমকে, ‘ওরা কিন্তু তামিমকে দুর্দান্ত সব বলই করছে। তাকে সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি করানো হচ্ছে। আমার মনে হয় ওর আরও একটু ধের্য ধরা প্রয়োজন। তাতে করে খেলাটা আরও আয়ত্তের কাছে আসবে। তাকে ৫০ ওভার লক্ষ্য করে ব্যাট করা উচিত। শুধু প্রথম ২০ ওভার লক্ষ্য করে খেললে হবে না।’

সিডন্স তামিমের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা খুঁজে পাননি। কিন্তু মনে করেন কৌশলগত কিছু পরিবর্তন হয়তো তাকে সহায়তা করবে আরও, ‘কৌশলগতভাবে সে পুরোপুরি ঠিক আছে। তবে আমি হলে ওর ফ্রন্ট ফুট আরও একটু সোজা করার চেষ্টা করতাম।’

এমন অবস্থায় সিডন্স মনে করেন, তামিম হয়তো নিজের ওপর খুব বেশি চাপ নিয়ে ফেলছে। একই সঙ্গে ভাগ্যের ছোঁয়া না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমার মনে হয় এর পেছনে ভাগ্যের ছোঁয়া না থাকা, দুর্বলতা, কিছু ভালো বলই তাকে বিপদে ফেলেছে। তার ওপর বিশ্বকাপটাও ছিল অস্বস্তিকর।’

তাই সিডন্স ভাগ্যের ছোঁয়ার সঙ্গে আরও বেশি ধৈর্য আশা করছেন তামিমের কাছ থেকে।–ক্রিকইনফো।