কাজী অ্যান্ড কাজী টির গ্রিন অব গুডনেস চা ১০০ শতাংশ অরগানিক উপাদান থেকে তৈরি। নিজস্ব বাগানে অরগানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত এই চা শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। এর কার্যকরী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। আলজাইমার, আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে কাজী অ্যান্ড কাজী টির গ্রিন টি। অর্থোডক্স, জেসমিন, গ্রিন মিন্ট এবং লেমনগ্রাসের মতো বিভিন্ন স্বাদে পাওয়া যায় এই চা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, ডিপ্রেশন কমানো, ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ কারণে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে।
২০০০ সালে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেটে অরগানিক চায়ের চাষ শুরু হয়। উৎপাদন শুরু হয় ২০০৬ সালে। এই যাত্রায় দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে কাজী অ্যান্ড কাজী টির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। কাজী অ্যান্ড কাজী টির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের জিএম এস এম এম ইব্রাহীম মাহমুদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রয়াত কর্নেল কাজী শাহেদ আহমেদের হাত ধরে ২০০০ সালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কাজী অ্যান্ড কাজী টির যাত্রা শুরু হয়। দুই দশকের এই যাত্রায় দেশ-বিদেশে জনপ্রিয়তা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছে। কোনও ধরনের কৃত্রিম ফ্লেভার ছাড়া ১০০ শতাংশ অরগানিক উপাদান দিয়ে তৈরি কাজী অ্যান্ড কাজী টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। আমাদের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে অরগানিক চায়ের স্বাদ, সুস্বাস্থ্য ও বৈচিত্র্য নিয়ে।
এস এম এম ইব্রাহীম মাহমুদ বলেন, আমাদের গ্রিন টির সব উপাদান ১০০ শতাংশ অরগানিক হওয়ায় এর স্বাস্থ্যগুণ সাধারণ চা থেকে বেশি। আমরা জৈবিক চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বোচ্চ গুণমান নিশ্চিত করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রিন টি ছাড়াও গ্রিন মিন্ট, গ্রিন লেমনগ্রাস, জেসমিন গ্রিন টি এবং অর্থোডক্স গ্রিন টি বাজারজাত করেছি। এই চাগুলোতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল, থিয়ানিন এবং ইজি সিজি, যা ক্যানসার প্রতিরোধ, ওজন কমানো, ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী। এছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
এস এম এম ইব্রাহীম মাহমুদ বলেন, দেশ ও বিদেশে অরগানিক চায়ের প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহ বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্রকারের চা বাজারজাত করা হচ্ছে। কাজী অ্যান্ড কাজী ১৯ রকমের অরগানিক চা দেশে কাজী অ্যান্ড কাজী ব্র্যান্ড নামে এবং বিদেশে তেঁতুলিয়া ব্র্যান্ড নামে বাজারজাত করছে। এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
জৈব সার, ভেষজ ছায়াযুক্ত গাছ এবং জৈব কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজী অ্যান্ড কাজী টি চা উৎপাদন করে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিকর পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য আড়াই লাখ নিম গাছ লাগানো হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিপাতসহ এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে যা আগে ছিল না। এখন পাখিরাও এসেছে এবং প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে ভারসাম্য।