শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদসহ গ্রেফতার শ্রমিকদের মুক্তির দাবি

বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদসহ রবিনাটক্সের গ্রেফতার করা শ্রমিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘বারবার শ্রমিকরা নিপীড়িত হয়েছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন এবং অপমাণিত হয়েছেন। আর এই বারবার বৈষম্যের শিকার হওয়ার ফলে কিন্তু শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনে নেমেছে।’

বাংলাদেশের সব আইনের উৎস হচ্ছে ব্রিটিশ আইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ আইনে ছিল রাতের বেলায় কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। কাউকে গ্রেফতার করার আগে সুনির্দিষ্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকতে হবে এবং রাতের বেলায় ৯ দিনে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। সেলিম রহমানের স্ত্রী এখানে আছেন, সেদিন আইন রক্ষাকারী বাহিনী আইন ভঙ্গকারী বাহিনীতে পরিণত হলেন। সেদিন তারা রাতের বেলা গিয়ে বাড়ির দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেন। বাড়ির সব আসবাবপত্র তছনছ করলো। আর এটা করার অধিকার তো কোনও আইনেই নাই। আপনারা আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন, সেখানে আপনারা আইন ভঙ্গ করলেন এবং শৃঙ্খলা নষ্ট করলেন। মানুষের মানবিক অধিকারকে বিপন্ন করলেন।’

রতন বলেন, ‘সেলিম মাহমুদের যদি কোনও অপরাধ থাকতো, তাকে আপনারা গ্রেফতার করতে পারতেন। কিন্তু তার স্ত্রী এবং সন্তানের সামনে লাঞ্ছনা করলেন, এটা তো আপনারা করতে পারেন না। আর এটা মানবাধিকারের কোন ঘোষণার সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফলে আজকে আপনারা মানবাধিকার ভঙ্গকারী বাহিনীতে পরিণত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আজ বলতে চাই, সেলিম মাহমুদ আছে একটা চিত্র। আর এই চিত্রের মধ্যে দিয়ে এই শাসকগোষ্ঠীর রূপটা উন্মোচন হয়ে গেলো। আজ আবারও প্রমাণ হয়ে গেলো। শাসক মালিকদের পক্ষে সবকিছু করতে পারে, কিন্তু শ্রমিকদের পক্ষে তারা কিছুই করবে না।’

বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সেলিম মাহমুদ এর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা বলে আইন দেওয়ার পরে এটা নিয়ে যেমন আমরা পুরো দেশে আন্দোলন গড়ে তুলবো। পাশাপাশি আমরা আদালতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে ধরনের পদক্ষেপ নেবো।’

সমাবেশে বাসদের অন্য নেতারাও বক্তব্য দেন।