ফিলিস্তিন ইস্যুতে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান সাকির

গাজা ও রাফার মজলুম ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ইসরায়েলের জায়নবাদী প্রকল্প এক ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী প্রকল্প। বছরের পর বছর ধরে তারা ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ নিপীড়ন দখলদারত্ব চালিয়ে আসছে, তা মানব জাতির জন্য একটা কলঙ্ক। বিশ্বের সমস্ত বিবেকবান মানুষের আজ ঐক্য গড়ে তুলতে হবে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে।’

তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনি শুধু আমাদের বাংলাদেশের নন, সারা দুনিয়ার শান্তিকামী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের দরবারে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সোচ্চার হোন।’

দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘বিশ্বের যত নিপীড়িত মানুষ আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে নিপীড়িত হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণ। অথচ তাদের এই নিপীড়ন দেখেও না দেখার ভান করে তথাকথিত বিশ্ব বিবেক। জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে বার বার ইসরায়েলের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা আটকানো হয়েছে। এই অগণতান্ত্রিক ভেটো ক্ষমতা বাতিল করতে হবে। আজ একদিকে সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষ ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সোচ্চার অন্যদিকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু জুটি গাজা ও রাফায় গণহত্যা চালিয়ে সেখানে প্রমোদ নগরী তৈরির স্বপ্ন দেখছে। এই নব্য ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আজ দুনিয়ার শান্তিকামী বিবেকবান গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় সদস্য অঞ্জন দাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আলীফ দেওয়ান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মাহবুব রতন, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিত চন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষক মজুর সংহতির সাধারণ সম্পাদক আলিমুল কবীর, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী, যুব ফেডারেশনের আহ্বায়ক উৎসব মোসাদ্দেকসহ গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।