রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান সাকির

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে তারা যেন আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে সে আহ্বান জানিয়েছি। একই সাথে জুলাই অভ্যুত্থানের পর ঐতিহাসিক মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ইতোমধ্যে একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থা বদল করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা আছি। সেই মুহূর্তে তার সফর গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সাকি।

বিশেষ করে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম-খুনসহ যে ভয়ঙ্কর অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে, সে সময় জাতিসংঘ যে অনুসন্ধানী রিপোর্ট দিয়েছে সে জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে যে ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সে বিষয়গুলোও তারা তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। সাকি বলেন, বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ও স্বচ্ছভাবে করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে আমাদের পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

চলমান সংস্কার কাজ শেষ করে দেশকে একটি নতুন বন্দোবস্তে নিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সংবিধানসহ যে সংস্কারকাজগুলো রয়েছে, আমরা বলেছি এই পদ্ধতিটা হোক ঐক্যমত্য ও সমঝোতার ভিত্তিতে। যাতে সংস্কার প্রক্রিয়াটি টেকসই হয়। শুধু তাই নয় সেটি কত দিনের মধ্যে ও কবে বাস্তবায়ন হবে, সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হওয়া দরকার। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। এসব এজেন্ডা নিয়ে আমরা যে কাজ করছি তা জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার রূপান্তর চলছে এবং জাতিসংঘ তার পাশে আছে। জাতিসংঘ মনে করে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া তা যথাযথ ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমাদের নিজেদেরকেই একটি জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। কী পদ্ধতিতে এ পথ আমরা পাড়ি দিতে পারবো, যেন সে বিষয়ে আমরা একমত হতে পারি।