বিএনপি’র ভোট ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের ভোট ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়েছে। একইভাবে আওয়ামী লীগের ভোট ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ হয়েছে। তবে ছাত্রদের সমর্থিত নতুন দলের ভোট ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ হয়েছে।
দেশের ১০ হাজার ৬৯৬ জন ভোটারের ওপর চালানো এক জরিপ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ইনোভিশন কনসাল্টিং , ব্রেইন এবং ভয়েজ ফর রিফরম নামের সংস্থাগুলোর যৌথভাবে পরিচালিত ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা: ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০২৫’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর প্রথম অনলাইন ও মাঠ পর্যায়ের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বর্তমান জরিপটি করা হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত।
জরিপ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী চান জুনে নির্বাচন। ডিসেম্বরে নির্বাচন চান ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া বাকিদের মধ্যে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ আগামী বছরের জুনে, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ ডিসেম্বরে এবং ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন চান। বাকিরা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দেখা গেছে যে, আগামী নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন তার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা। এছাড়া ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি এবং বাকিরা মন্তব্য করেননি। সিদ্ধান্ত না নেওয়ার মধ্যে জেন জি প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখন নির্বাচন হলে কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের মতো পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটারের আস্থা দেখা গেছে। ভোটারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিএনপি। জরিপে অংশ নেওয়া ৪২ শতাংশ ভোটার আগামী নির্বাচনে দলটিকে সমর্থন করবেন বলে মত দিয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, তাদের পক্ষে মোট দিয়েছে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ, তারপর আছে আওয়ামী লীগ, যা ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
এছাড়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মত দিয়েছেন ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
জরিপের তথ্য বলছে, জেন জি প্রজন্মের পছন্দের দলের প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে আছেন ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ছাত্রদের নতুন দলের পক্ষে আছেন ১০ দশমিক ১ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে– এই প্রশ্নে জরিপের ফলাফল বলছে— ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ মনে করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বলছে আংশিকভাবে পূরণ করেছে এবং ২ দশমিক ৬২ শতাংশ বলছে সম্পূর্ণরূপে পূরণ করেছে।
এছাড়া ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ বলছে— আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকার তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, ৪০ দশমিক ৩৩ শতাংশ মনে করে আংশিকভাবে পূরণ করেছে এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ বলছেন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গত ৬ মাসে চাঁদাবাজির বিষয়ে ৪১ শতাংশ মনে করেন বেড়েছে, ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ মনে করেন আগের মতই আছে এবং ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ মনে করেন কমেছে, তবে বাকিরা কেউ মন্তব্য করেননি।