ছিন্নমূল মানুষের জন্য এবি পার্টির গণইফতার

প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের রমজানেও মাসব্যাপী গণইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। রাজধানীর বিজয় নগরে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীত পাশের খোলা মাঠে প্রতিদিন ইফতার করছেন সহস্রাধিক অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ।

এ উপলক্ষে রোজার চতুর্থ দিন বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৫টার পর থেকেই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন এবি পার্টির সিনিয়র নেতারা। এছাড়াও প্রতিদিন একজন করে বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন।

বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ। এবি পার্টির ঢাকা মহানগরী উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগীয় সেক্রেটারি বিএম ফয়সাল মনিরের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামী ইসলামী পার্টির নির্বাহী সভাপতি  মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বেপারী ও এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামানসহ প্রমুখ।

‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাটের মহোৎসবের পথ বন্ধ করতে হবে’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদের পতনের পর অনেক সাংবাদিক পালিয়েছে, যা অতীতে কখনও ঘটেনি। মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষায় দেশ গঠনের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলেছে দুর্নীতির মহোৎসব। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাটের সকল পথ বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক এমএ আজিজ। 

গণইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

এমএ আজিজ বলেন আরও বলেন, এদেশের মালিক জনগণ, জনগণের মালিকানা জনগণের নিকট ফিরে দেওয়ার রাজনীতিই এবি পার্টি করে আসছে। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের কারণে এখনও আমরা বৈষম্যের মধ্যেই আছি। 

আগামী নির্বাচনে গণইফতারে উপস্থিত জনতাকে সৎ নেতা বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের খাদ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের, কিন্তু আজ এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে এসব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আগামীতে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এমন দল ও নেতাকে ভোট দেবেন। আর কোনও চোর-বাটপারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানো যাবে না। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একেএম আশরাফুল হক বলেন, ‘ইসলামে সাম্য, সমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। এবি পার্টিও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে আগামীর রাষ্ট্র গড়তে চায়। প্রতিকূল পরিস্থিতির শত বাধা পেরিয়ে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় দল হয়ে উঠছে এবি পার্টি। বিগত ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে এবি পার্টির সাহসী সংগ্রামের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।