স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করা ও সমাধানে কাজ শুরু করেছে এবি পার্টি

স্থানীয়ভাবে এলাকাভিত্তিক ইস্যুতে সক্রিয় হয়েছে এবি পার্টি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সুশৃঙ্খল যাত্রাবাড়ী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৭ দফা দাবিতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছে দলটির যাত্রাবাড়ী থানা শাখা।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘স্থানীয় সমস্যাগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধান হলে কেন্দ্রীয় সরকারে চাপ পড়ে কম। আমরা চাই লোকাল (স্থানীয়) সমস্যা সমাধানে স্থানীয়রাই উদ্যোগ নেবেন। এতে করে কেন্দ্রের উপর চাপ কমে।’

‘এজন্য এবি পার্টি স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কর্মসূচি দিয়েছে। আগামী দিনে আরও কর্মসূচি আসবে, আমরা চাই সবাই যেন এগিয়ে আসেন এই উদ্যোগে।’ বলেন মঞ্জু।

এদিকে আজ বুধবার দলটির যাত্রাবাড়ী থানা শাখা আহ্বায়ক সিএমএইচ আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাতুল্লাহ টুটুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আমেনা বেগম, যাত্রাবাড়ী থানা সদস্য সচিব নাসিমুল ইসলাম অন্তরসহ স্থানীয় নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, যাত্রাবাড়ী থানা ঢাকা মহানগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখ। এটিকে অবশ্যই শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি এবি পার্টির ৭ দফা দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ৭ দফার মধ্যে রয়েছে— চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সরকার নির্ধারিত ইজারার মাধ্যমে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, পাইকারি আড়ৎ ও দর্শনীয় স্থান নিয়ন্ত্রণ; যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু;  প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্জ্য নিষ্কাশন কার্যক্রম শেষ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যাত্রাবাড়ী নিশ্চিত করা; যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা; থানায় স্পেশাল হেল্পলাইন নম্বর চালু করা ইত্যাদি।

এছাড়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিহত সকল শহীদদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং অবিলম্বে শহীদদের স্মরণে যাত্রাবাড়ী থানার গেট সংলগ্ন স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির দাবি জানায় এবি পার্টি।