উগ্রবাদীদের দমনে সরকার ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলন: সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারী

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেছেন, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর জশনে জুলুসে হামলা করে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো উগ্রতার চরম সীমা অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙচুর ও জশনে জুলুসে হামলাকারী উগ্রবাদীদের দমনে সরকার ব্যর্থ হলে দেশের সুফি দরবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বিবৃতিতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত জশনে জুলুসে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়, ফেনীর দাগনভুঁইয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় উগ্রবাদীরা জশনে জুলুসে হামলা করেছে। ওই হামলায় কুলিয়ারচরে ছয়সূতি মীরবাড়ির মীর জমির উদ্দিনের ছেলে মীর আরিফ মিলন (৫৫) নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। কসবায় ২০ জন আহত ও দাগনভুঁইয়াতে ১১ জনসহ সারা দেশে আরও অনেকে আহত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর জুলুসে হামলাকারী জঙ্গীরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে চায়।’

বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এভাবে একের পর এক হামলা মেনে নেওয়া যায় না। এসব হামলা ও হয়রানি সরকারের কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত এবং বিতর্কিত করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাজারে হামলা, জশনে জুলুসে হামলা এগুলো সব একই সূত্রে গাঁথা। এই উগ্রপন্থীরা ধর্মীয় সম্প্রীতির সংস্কৃতি ও উদারপন্থি ধর্মীয় সব জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।’