গোপালগঞ্জে হামলা: মির্জা ফখরুলের নিন্দা, সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক

গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন। নিহত শওকত আলী ঢাকায় ক্রিকেট আম্পায়ার ছিলেন।

বিএনপি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় এসএম জিলানী ও তার স্ত্রী রওশন আরা রত্মা এবং তাদের দুই সন্তানসহ (কলেজ ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত) ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির বহরে থাকা ১০ টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে এই হামলা হয়।

দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কাপুরুষোচিত হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে শনিবার দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

গুরুতর আহত জিলানীসহ তার পরিবারের সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ থেকে এনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন -রাজু বিশ্বাস, মাহাবুব খান, লিন্টু মন্সী, গোপালগঞ্জের সালমান সিকদার, সুজন সিকদার, সবুজ সিকদার, ঢাকার মতিঝিল এলাকার নাসির আহমেদ মোল্লা, নিশান ও হাসান। সময় টিভির গোপালগঞ্জের ক্যামেরা পারসন মানিক হাওলাদারের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে বেধড়ক পেটানো হয়।

এদিকে এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তাহলেই দেশের মানুষের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।’

দিদারের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।