বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ন্যাপের শুভেচ্ছা

দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের দশম বর্ষপূর্তি ও একাদশ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। সোমবার (১৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তারা বলেন, ২০১৪ সালের ১৩ মে যাত্রা শুরু হয় বাংলা ট্রিবিউনের। প্রতিষ্ঠানটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নির্মোহভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। পাঠক অনেক ক্ষেত্রে সত্য প্রকাশে বাংলা ট্রিবিউনের সাহসী পদক্ষেপ লক্ষ করেছে। বাংলা ট্রিবিউনের অনেক মন্তব্য, রচনা ও সংবাদ গতানুগতিকতার বাইরে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে পাঠকের কাছে।

ন্যাপের দুই নেতা বলেন, গণমাধ্যম বা সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ– এ কথা আদিকাল থেকে প্রচলিত। সমাজও হয়তো আজও তা-ই ভাবে। সাধারণের ধারণা, আজও গণমাধ্যম ও সংবাদপত্র সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। সমাজের এ ধারণা অমূলক নয়। কেননা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা গণমাধ্যম ও সংবাদপত্র এবং সংবাদমাধ্যমের পূর্বশর্ত। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে আশান্বিত হওয়ার কারণ দেখি না। করপোরেট পুঁজি ও মালিকপক্ষের গোষ্ঠীগত স্বার্থের প্রয়োজনই মুখ্য। এর মধ্যেও যে কয়টি গণমাধ্যম পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলা ট্রিবিউন অবশ্যই অন্যতম।

তারা আরও বলেন, গণতন্ত্রে স্বাধীন গণমাধ্যমে সজীব ও নির্ভীক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অপরিহার্য। আজকালকার মানুষের মধ্যে যারা স্বাধীন মতপ্রকাশ করতে চান, তাদের জন্য মতপ্রকাশ কঠিন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সরকার কোনোকিছু বললে সেটাই শুদ্ধ, বাকি কিছুই শুদ্ধ না– এমনটি নয়। এ অবস্থায় পাঠকের প্রত্যাশা বাংলা ট্রিবিউন সত্যকে সত্য হিসেবে প্রকাশ করবে, গোঁজামিল দিয়ে অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক কিছু প্রকাশ করবে না।

নেতারা বলেন, বাংলা ট্রিবিউন দশম বর্ষ শেষ করে একাদশ বর্ষে পদার্পণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অনেক বেশি বস্তুনিষ্ঠ ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। ভবিষ্যতেও বাংলা ট্রিবিউন তার সাহসী সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে নির্মোহ অবদান রেখে যাবে বলে পাঠকরা আশা করে। ১০ বছরে বাংলা ট্রিবিউনের পাঠক এবং প্রচারেও অভিন্নতা ঘটেছে বলে মনে হয় না। ১০ বছর একনাগাড়ে সমানতালে চালিয়ে যাওয়া এবং টিকে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। এই দীর্ঘ সময় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে সংবাদ পরিবেশনে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলা ট্রিবিউন প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলা ট্রিবিউনের একাদশ বছরে পদার্পণে অবশ্যই সংহতি জানাই। উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলা ট্রিবিউনের মালিক ও সংবাদকর্মীসহ সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানাই।