নির্বাচন কমিশনে একগুচ্ছ প্রস্তাব তৃণমূল বিএনপির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়েছে নতুন এ দলটি।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধন পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে দলটি।

বৈঠকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলের নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদাসহ ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।

বৈঠকের পর শমসের মোবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভোটে অংশ নিতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ১২ দফা দাবি পেশ করেছি। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে বলে আশা রাখি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচনকালীন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান সুযোগ সৃষ্টি অর্থাৎ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। যদি কোনও দল বা প্রার্থী ন্যায্য দাবি বা অভিযোগ করে, দ্রুততম সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

প্রতিনিধি দল নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি রাখার দাবি জানালেও তাতে সায় দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

যা বললো নির্বাচন কমিশন
বৈঠকের পর ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, তৃণমূল বিএনপি বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের দেওয়া ১২টি প্রস্তাবের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের আইনি যেসব দিক রয়েছে, সেগুলোর বিষয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ, ভোটকেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ফলাফল, প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের কাছে ফলাফল হস্তান্তর। এসব বিষয় আলোচনায় এনেছেন তারা। এ ছাড়া ভোট গ্রহণকালে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য তারা জোরালো দাবি করেছেন।

সচিব আরও জানান, তাদের বক্তব্য, দাবি ও প্রস্তাবগুলো কমিশন খুব মনোযোগের সঙ্গে শুনেছে। কমিশন আশ্বস্ত করেছে যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত থেকে শুরু করে সুষ্ঠু ও একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে কমিশন বদ্ধপরিকর।

তিনি জানান, আইন ও সংবিধানের আলোকে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কমিশন সেই ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করবে এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে বলে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব কার্যক্রম নেবে।