মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল রাজবন্দি ও ধর্মীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন কয়েকটি দলের নেতাসহ নাগরিক সমাজের কয়েকজন সদস্য।
রবিবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘গণ মতামত কেন্দ্র’র উদ্যোগে ‘হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দি ও ধর্মীয় নেতার দীর্ঘ কারাবাস: নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এই দাবি জানান।
সভায় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘গত বছর মোদির আগমনের বিরোধিতা করে সকলেই প্রতিবাদ করেছে। ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ করেছে, আমরাও প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু একটি ছুতায় সরকার আলেমদের গ্রেফতার করে বন্দি রেখেছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এটা মানা যায় না। সকলের মতো আলেমদেরও জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। মাওলানা মামুনুল হককে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা খুবই অমানবিক।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মামুনুল হকসহ আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এজন্য যা করণীয় তাই করতে প্রস্তুত।
ডাকসু’র সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হকসহ ধর্মীয় ও রাজবন্দিদের গ্রেফতারে আমি উদ্বিগ্ন, নাগরিক সমাজ উদ্বিগ্ন, দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। মোদিবিরোধী আন্দোলন আমরা সবাই করেছি, ছাত্র সমাজ করেছে, আলেম সমাজ করেছে। কিন্তু সরকার গ্রেফতার করেছে আলেম সমাজকে। কারণ, আলেম সমাজকে কোণঠাসা করার জন্য সরকারের বড় একটা পরিকল্পনা ছিল। তারা সেটা বাস্তবায়ন করেছে এই মোদিবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।’
নুর বলেন, ‘আলেমদের মুক্তির জন্য নতজানু হলে চলবে না বরং আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আলেমদের মুক্ত করতে হবে। আমি সরকারকে বলবো, ঈদুল আজহার আগেই মাওলানা মামুনুল হকসহ রাজবন্দি ও ধর্মীয় নেতাদের মুক্তি দিন। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মহসিন রশিদ, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।