সংঘাতময় রাজনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে না: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরস্পরবিরোধী নয়। তারা একে অপরের পরিপূরক মাত্র। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যদি আমরা বিষয়গুলোকে পর্যালোচনা করি, তাহলে সেখানে কিন্তু কোনও সংঘাতের প্রয়োজন নেই। আজকে স্বাধীনতার প্রায় ৫৩ বছর পরে এসে আমরা যেখানে উপনীত হয়েছি, সেখানে আমাদের স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে, সংঘাতময় রাজনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে না।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত 'সংবিধান সংস্কার' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল মঈন খান বলেন, সংবিধানের জন্য জনগণ নয়, জনগণের জন্য সংবিধান। এই কথাটি যদি আমরা অন্তর থেকে বিশ্বাস করি, তাহলে আজকে যে প্রশ্নটি এসেছে— সংবিধান পুনর্লিখন অথবা সংশোধনের মধ্যে আমি কোনও সংঘাত দেখতে পাই না। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য তো সংবিধান নয়, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণ। কাজেই জনগণের কল্যাণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা সেটাই তো করবো। প্রয়োজনে সংবিধান পুনর্লিখন অথবা সংশোধন করবো। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যে সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা সৃষ্টি করবো, যে রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র সৃষ্টি করা। সেই কল্যাণ রাষ্ট্র সৃষ্টি করার জন্য যে কাজগুলো করা প্রয়োজন, সেই কাজগুলো আমরা করবো। সেটা যেই পদ্ধতিতেই হোক না কেন। আমি মনে করি, আমাদের উদ্দেশ্য যদি সঠিক হয়, সৎ হয় এবং সত্যিকার অর্থে যদি আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চাই, তাহলে পদ্ধতি কোনও বাধা হয়ে থাকতে পারে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।