রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
আলোচনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে এই মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময়ে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি, স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের প্রতি, স্বাধীন বাংলাদেশের যে প্রথম সরকার সেই সরকারের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীসহ সব সেক্টর কমান্ডার, ফোর্সেস কমান্ডার, সাব-সেক্টর কমান্ডার, যারা সৈনিক ছিলেন, যারা সহযোগী ছিলেন, যারা সাহায্য করেছেন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা, সেই যুদ্ধে আমার মা-বোনেরা তাদের সারাজীবনের সর্বোচ্চ সম্পদ হারিয়েছেন, যে সন্তানরা তাদের মা-বাবা-ভাই-বোনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াসহ তার দুই সন্তানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারাগারে মাসের পর মাস কাটাতে হয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা। কিন্তু কী দুর্ভাগ্য আমাদের, যিনি ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর কারাগারে দুই সন্তানসহ বন্দিজীবন কাটিয়েছেন—আজকে আবার এই সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগে কারারুদ্ধ হয়ে থাকতে হচ্ছে তাকে। তাও আবার দারুণ অসুস্থ অবস্থায়।”
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোর ‘আমার মা, আমার দেশ, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, ধানের শীষ, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ মিনার, খাল-খনন, সবুজ গ্রাম’ প্রভৃতি বিষয় রঙ-তুলিতে কাগজে ফুটিয়ে তুলে।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘ তোমরা সত্য জানার চেষ্টা করো। মনে রাখবে জ্ঞান তাই যা সত্য। মিথ্যা জানা জ্ঞান নয়। যারা মিথ্যা জানাতে চায় তারা আমাদেরকে অজ্ঞানতার অভিশাপে আবদ্ধ করতে চায়। কাজেই সত্য জানার আবেগ ও উৎসাহ আরও জাগ্রত হোক।”
দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুল হাই শিকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, মেজবাহ আহমেদ, আবদুল বারী ড্যানি, আমিনুল ইসলাম, আবেদ রাজা, খান রবিউল ইসলাম রবি, ফরিদা ইয়াসমীন, মহসিন মন্টু, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, রীতা আলী প্রমুখ নেতারা।