এনএসইউয়ের সামনে বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ফেসবুকে সারজিস আলমের ব্যাখ্যা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে কেউ কেউ দাবি করছেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ সারজিস আলমকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। তবে এ ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ শাকিলের নাম উল্লেখ করে সারজিস আলম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দীর্ঘ স্ট‍্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ১৬ বছর ধরে ছাত্রদল টোকাই লীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর; আজকে যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাই লীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে, তাহলে তারও পরিণতি টোকাই লীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না ৷

জানা গেছে, ভাইরাল ভিডিওটির ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১০টার পরে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে। সন্ধ্যার পরে সারজিস আলম ওই এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শখানেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ১০টার পর প্রায় ১৫ জন তরুণ হঠাৎ অন্য পাশ থেকে সারজিসকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সারজিসের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে দুইপক্ষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

রাতে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে সারজিস তার ভ‍্যারিফাইড ফেসবুকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সাথে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই ৷ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সাথে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয় এনএসইউ, আইইউবি, এআইইউবি,  ইউআইইউ- এই ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সাথে আড্ডা দিয়ে এনএসইউ'র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম৷ আমার সাথে ১৫-২০জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল।

পরে এনএসইউ’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে৷ এর মধ্যে ছাত্রদলের সেন্ট্রাল নেতা আহমেদ শাকিল ছিল৷ আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে৷ কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সাথে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে৷ ওদের ১০-১২ জনের মধ্যে ১-২জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতকারী মনে হচ্ছিল৷ বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।

পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সঙ্গে থাকা টোকাই দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সাথে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে  হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে। ছাত্রদলের শাকিলসহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। ১৬ বছর ধরে ছাত্রদল টোকাই লীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজকে যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাই লীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তারও পরিণতি টোকাই লীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না ৷ শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।