জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের পরিকল্পনা কী?

বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা দিবস ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই রূপ নেয় সরকারের পতনের দাবিতে। সর্বশেষ ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নানান ঘটনার পরিক্রমায় এ বছর জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মিটিংয়ে শোক দিবস পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৫টি ছাত্র সংগঠন।

প্রতি বছরই শোক দিবসকে ঘিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ দেশব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করে থাকে। শোক দিবস পালনের জন্য শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিলেও ছাত্রলীগের কোনও কর্মসূচি আছে কিনা জানা যায়নি।

আত্মরক্ষার্থে ছাত্রলীগ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন এই মুহূর্তে। তাদের ব্যক্তিগত নম্বরগুলোও রয়েছে বন্ধ। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলিগ্রামে জয়েন দিতে দেখা গেছে অনেক ছাত্রলীগ নেতাকে। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইটে কোনও তথ্য আছে কিনা জানতে সেখানে ঢুকতেই জানা যায়, ওয়েবসাইটটির ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে। তাদের অফিসিয়াল পেজটিও এই মুহূর্তে ডিঅ্যাক্টিভেট।

জাতীয় শোক দিবস নিয়ে ছাত্রলীগের পরিকল্পনা জানতে সাবেক ও বর্তমান প্রায় দশের অধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।