যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি দলের কাছে যেসব অভিযোগ করলো এবি পার্টি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এই বৈঠক হয়।

এতে এবি পার্টির নেতারা প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধি দলকে বলেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১১টি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের অধীনে অনুষ্ঠিত সাতটি নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য। বাকি চারটি নিরপেক্ষ, অন্তর্বর্তীকালীন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছিল তুলনামূলকভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য। আজ এটা সর্বসম্মতভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, কোনও দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

এবি পার্টির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলকে মতামত ও মূল্যায়ন তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ও কূটনৈতিক টিমের প্রধান ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ পর্যবেক্ষক টিমকে বলেন, ১২ কোটিরও বেশি ভোটারদের জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা একটি বিশাল কাজ যা পুরো নির্বাহী এবং জনপ্রশাসনের সম্পূর্ণ নিযুক্তি ছাড়া পরিচালনা করা সম্ভব না। জনপ্রশাসনের এই পুরো টিম থাকে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। ভোট গ্রহণ, গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করে মাঠে নিয়োজিত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা ইচ্ছেমতো নির্বাচন অনিয়ম ও কারচুপি করে থাকে। দলীয় সরকারের অধীনে স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন একা কোনও দায়িত্ব পালন করতে পারে না।

পর্যবেক্ষক দলে ক্লিনটন প্রশাসনের অধীনে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ সহ ছিলেন ছয় আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তারা হলেন- সাবেক ডেপুটি ইউএসএআইডি প্রশাসক বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ প্রশাসনের সাবেক সহকারী উপদেষ্টা জামিল জাফর, এনডিআই এর এশিয়া-প্যাসিফিকের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই’র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও। 
মতবিনময়কালে এনডিআই’র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রোগ্রাম পরিচালক জ্যামি স্যাক্স স্পাইকারম্যান, আইআরআই বাংলাদেশের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ক্রেগ হলস্টেড জে ডি  উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টি প্রতিনিধি দলকে জনায়, ২০২৪ সালের শুরু থেকে পশ্চিমা বিশ্বের বাণিজ্যিক বা অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে বাংলাদেশের পড়ার আশঙ্কা বা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এটা কোনও দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাম্য নয়, বরঙ অসন্মানজনক। এতে মানুষের জীবন-জীবিকা, দেশের অর্থনীতি ও সমাজ সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে!