বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আমি মনে করি মেডিক্যাল রিপোর্টের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশের মানুষের রিপোর্ট। এই রিপোর্টের গুরুত্ব বুঝে নিন। এরপরও যদি না বোঝেন তাহলে স্বৈরাচারের বিষয়ে মানুষ যেভাবে জয়ী হয়েছে, দেশনেত্রীর মুক্তির ব্যাপারে মানুষ সেইভাবে জয়ী হবে।’
খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্টের দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল রিপোর্টের এমন দুর্গতি আমি জীবনে কখনও দেখিনি। কয়েকজন ডাক্তার একটা মেডিক্যাল রিপোর্ট দিয়েছেন, তারপরে আবার আরেকটি রিপোর্ট দিতে হবে!’
বিএনপি চেয়ারপারসনের কোনও মেডিক্যাল রিপোর্টের প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে বিএনপির সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশনেত্রীর শরীরের অবস্থা জানেন না, এমন কোনও মানুষ নেই। তারপরও মেডিক্যাল রিপোর্ট দরকার। আগের মেডিক্যাল রিপোর্টে বলেছে, তিনি পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। উনার আরও উন্নততর চিকিৎসা প্রয়োজন। এরপর তো আর কোনও মেডিক্যাল রিপোর্টের প্রয়োজন নেই। তাহলে আরেকটা রিপোর্ট দিতে হবে কেন?’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ডাক্তারদের ওপর নাকি চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। রিপোর্ট পরিবর্তনের চাপ নাকি ডাক্তারদের ওপর আসছে। জনগণ এগুলো নিয়ে আলোচনা করছেন। সারাদেশে এখন খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে আমীর খসরু আরও বলেন, ‘আস্তে আস্তে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান তারা দখল করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করে বাংলাদেশের মানুষের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে ক্ষমতায় থাকার প্রক্রিয়া চলছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার যে প্রক্রিয়া চলছে, এই প্রক্রিয়া তো চলতে পারে না। আজকে যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা যদি এখনও বুঝতে না পারে, যদি তারা মনে করে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানে দখল করে ক্ষমতায় থাকবে—তা কিন্তু সম্ভব হবে না।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল করিম আব্বাসির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।