তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর অস্ট্রেলিয়া, চীন ও জাপান প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি বিভিন্ন দেশে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চিঠি দেয়। তবে তারা সাড়া পায়নি। বরং তারা যাদের চিঠি দিয়েছে, সেসব দেশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’
এ সময় বিএনপিকে ছাড়া সংসদে বসার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যে কয়টি আসনই পাক, সংখ্যা বড় নয়। তারা সংসদে এসে যৌক্তিক বিষয় উপস্থাপন করলে সরকার তা গ্রহণ করবে।’
সংসদে আসার অবস্থান থেকে বিএনপি সরে গেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘সংসদে আসার অবস্থান থেকে বিএনপি নিজেই সরে গেছে। কেউ তাদের সরিয়ে দিচ্ছে না। আমরা কী তাদের জোর করে আনবো। গত পাঁচ বছর বিএনপি ছিল না, তো সংসদ কি চলেনি?’
বিতর্কিত নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী চা-চক্রের আয়োজন করেছে- বিরোধী পক্ষের এমন অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবাইকে চা-চক্রের দাওয়াত দিয়েছেন। নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সবাইকে এতে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। এটাকে গার্ডেন পার্টিও বলা যায়। তবে তা সংলাপ নয়। তাতে তারা কেন আসবে না, তা আমরা বুঝি না। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দুইবার সংলাপে বসেছেন। তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই তো বৈঠক হয়েছে। গার্ডেন পার্টিতে এলেও তাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে তাদের প্রতিক্রিয়া শুভকর নয়। এটি তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারাবাহিকতা।’
ভোট নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের প্রশ্ন তোলার উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা বলেন নির্বাচন পক্ষপাতমূলক হয়েছে। তাহলে তিনিও কি পক্ষপাতমূলক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন?’
নির্বাচনে জয়ীদের সংসদের আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটারদের মূল্যায়নের সম্মান দিয়ে জয়ীদের সংসদে আসা উচিত। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে অংশ নেওয়া তাদের অধিকার। তারা অধিকার বলেই সংসদে আসবেন। কারো অনুরোধে নয়।’