ইতিকাফের সময় যেসব ভুল হয়

খুব সহজেই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম আমল রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। এ সময় মানুষ নিজেকে পার্থিব সব কর্মব্যস্ততা থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য, হাজার মাসের থেকেও উত্তম শবে কদর পাওয়ার আশায়, যে রাতে ইবাদতের সুযোগ লাভ করলে আল্লাহ তায়ালা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন বলে হাদিসে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪)।

ইতিকাফকারী ছাড়াও অন্য যে কেউ শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে ইবাদতের মাধ্যমে শবে কদর পেতে পারেন। তবে ইতিকাফকারী যেহেতু নিজেকে অন্যসব ব্যস্ততা থেকে দূরে সরিয়ে একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য সমর্পন করেন এবং প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতের মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন, তাই তার জন্য সহজেই এই রাতের বরকত ও ফজিলত লাভ করা সম্ভব।

যারা ইতিকাফে বসেন তাদের কেউ কেউ অবচেতনে অথবা না বুঝে হঠাৎ ভুল করে বসেন, যে কারণে ইতিকাফ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ইতিকাফকারীদের এমন কিছু ভুল হলো—

  • ফরজ ইবাদত পালন করলেও অন্যান্য সুন্নত নফলে গুরুত্ব না দেওয়া।
  • ইবাদত না করে চুপচাপ বসে থাকা।
  • ইতিকাফের সময়ে মসজিদে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেওয়া।
  • অন্য ইতিকাফকারী বা মসজিদের সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে অহেতুক গল্প করা।
  • কোরআন-ধর্মীয় বইপত্রের অ্যাপ ছাড়া অনর্থক কাজে মোবাইল ব্যবহার করা।
  • দুনিয়াবি বিষয়াদির খোঁজ-খবর রাখা।
  • প্রয়োজন ছাড়া গোসলের জন্য বাথরুমে যাওয়া।
  • বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া।

আল্লাহ তায়ালা ইতিকাফ ও মসজিদে অবস্থানের গুরুত্ব বুঝে সবাইকে সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন।

লেখক: সাংবাদিক