পবিত্র কোরআন কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষের দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথনির্দেশ। একইসাথে কোরআনের তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদতও বটে। হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।’ (বুখারি শরিফ)
অন্য একটি হাদিসে কোরআন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে শ্রেষ্ঠ মানুষ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে তা শেখায়।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৫০২৭)
তবে কোরআন তিলাওয়াতের এত ফজিলত বর্ণনা সত্ত্বেও আমাদের সমাজের অনেকে নানা কারণে ও গাফলতিতে সম্পূর্ণ কোরআন খতম করতে পারেন না, তাদের জন্য এবং যারা নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করেন, তারাও যদি খুব সংক্ষেপেই এক খতম কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব লাভ করতে চান, তাদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ রয়েছে।
হজরত আবুদ-দারদা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা ইখলাস একবার তিলাওয়াত করলে পবিত্র কোরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব পাওয়া যায়। (মুসলিম শরিফ, মেশকাত শরিফ) প্রখ্যাত আলেম হাকিমুল উম্মাত, মুজাদ্দিদুল মিল্লাত মাওলানা আশরাফ আলী থ্নবী (রহ.) বলেন, এই হাদিসের আলোকে বলা হয় যে, এই সুরাটি তিনবার তিলাওয়াত করলে এক খতম কেরআন তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যায়।
কোরআন মানবজাতির জন্য যেমন রহমত, ঠিক অনুরূপ পবিত্র এ গ্রন্থ তিলাওয়াত না করলেও মহান আল্লাহ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যারা কোরআনে কারিম তিলাওয়াত, চর্চা ও অনুশীলন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কিয়ামত দিবসে আল্লাহর কাছে রাসুল (সা.) এই বলে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব! এই লোকেরা কোরআন পরিত্যাগ করেছিল।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত : ৩০) সুতরাং সওয়াব অর্জনের জন্য যেমন আমাদের কোরআন তিলাওয়াত করা দরকার, ঠিক তেমনি আল্লাহ আজাব থেকে পরিত্রাণের জন্যও নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত জরুরি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করেন। আমিন।লেখক: গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ, ঢাকা