শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত সন্‌জীদা খাতুন

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুন। বেলা আড়াইটায় তার মরদেহে শেষ বিদায় জানাতে শহীদ মিনারে আসেন নানা শ্রেণির লোকজন, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সেখানে অশ্রুসিক্ত চোখে তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা।

এর আগে সন্‌জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সংগীতপ্রেমীসহ নানা অঙ্গনের মানুষ। এ সময় রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করা হয়। ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ। একে একে প্রত্যেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি চলতে থাকে সংগীত পরিবেশন।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, শিবলি মহম্মদ, শামীম আরা নীপা, মিনু হক, চন্দনা মজুমদার, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, নায়লা আজাদ নুপুরসহ প্রমুখ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে ছায়ানটের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক লাইসা ইসলাম লিসা অশ্রুসিক্ত চোখে সনজীদা খাতুনের জন্য প্রার্থনা কামনা করেন। এসময় তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মৃত্যুর গান ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে। তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা, বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে। তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে,

কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে। নাহি ক্ষয়, নাহি শেষ, নাহি নাহি দৈন্যলেশ, সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে।’ পরিবেশন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় সনজীদা খাতুনের মরদেহ শহীদ মিনার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।