সোমবার বাদ জোহর গুলশান সোসাইটি মসজিদে বাবুল কাজীর জানাজা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আগামীকাল সোমবার (১৯ জানুয়ারি) বাদ জোহর গুলশান সোসাইটি মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে বাবুল কাজীকে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন বাবুল কাজীর বড় বোন খিলখিল কাজী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ (রবিবার) রাতে বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে বাবুল কাজীর মরদেহ গুলশানের আজাদ মসজিদে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে মরদেহ গোসল করানোর পর বনানীর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আগামীকাল বাদ জোহর গুলশান সোসাইটি মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর ২৩ নম্বর রোডের ১০৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় নিজ ওয়াশরুমে গ্যাস লাইটার জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন বাবুল কাজী। তার শরীরে ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়ে শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তিনি জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তার চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। সবশেষ রবিবার বিকালে তিনি মারা যান।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ সন্তান কাজী সব্যসাচীর ছেলে বাবুল কাজী। তার মায়ের নাম উমা কাজী। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বাবুল কাজী। তার স্ত্রী নাদিরা ফারজানা রুনা এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ঢাকায় বনানীতে থাকতেন তিনি। বাবুল কাজী ছিলেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।