‘এখন কোথায় থাকবো, কী হবে পরিবারের’

গৃহপরিচারিকা কোহিনুর। তার স্বামী পেশায় অটোরিকশাচালক। তাদের দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে থাকেন। পরিবার নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে বাসবাস করতেন কোহিনুর। কিন্তু রামচন্দ্রপুর খালে ঢাকা ‍উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহীন হয়ে পড়েছে তার পরিবার।

মালামাল নিয়ে চিন্তিত তারা

শনিবার (২৯ জুন) কোহিনুরের সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের। আলাপে তার একটাই কথা, ‘এখন কোথায় থাকবো, কী হবে পরিবারের?’

রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট ও সরকারি খাস জমির ওপর গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান চলছে

যখন তার সঙ্গে আলাপ হয়, তখন তিনি ফোনে বাসা খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। সাধ্যের মধ্যে কোথায় বাসা ভাড়া পাওয়া যায়, সে চেষ্টাই করছিলেন।

অভিযানে রিকশা গ্যারেজ, রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কার্যালয়, বাসাবাড়ি ও আলোচিত খামার ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ ভাঙা পড়েছে

বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে নিরব নামে আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি এখানে স্বল্প মূল্যে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিন্তু উচ্ছেদের পর এখন কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে চিন্তায় আছেন।

মালামাল নিয়ে রাস্তায় অনেক পরিবার

রেশমা নামে আরেক নারী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এ স্থানে বসবাস করছি। আমাদের ভিখারি করে দিয়েছে। রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।’

দুশ্চিন্তায় তারা

রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট ও সরকারি খাস জমির ওপর গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) থেকে অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি। অভিযানে রিকশা গ্যারেজ, রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কার্যালয়, বাসাবাড়ি ও আলোচিত খামার ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ ভাঙা পড়েছে। এই উচ্ছেদে ভেঙে ফেলা হয়েছে অনেকের একমাত্র বসবাসের ঘরটিও। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে রামচন্দ্রপুর খালে অভিযান শুরু হয়, যা এখনও চলমান।

বাসা থেকে নামানো হচ্ছে মালামাল

448270139_472194705459484_2564332998318094861_n