রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানা এলাকায় প্রায় ৬ বছর আগে আটকে রেখে কিশোরী প্রেমিকাকে দল বেঁধে ধর্ষণের দায়ে প্রেমিকসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডিত আসামিরা হলেন, ভিকটিমের প্রেমিক ইয়াসিন সরদার হৃদয়, তার বন্ধু ফাহাদ শেখ পিয়াল, দেলোয়ার হোসেন দেলু, সুজন এবং উজ্জ্বল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় পিয়াল, সুজন এবং উজ্জল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
জানা যায়, পনেরো বছরের ওই কিশোরীর সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হৃদয় তার প্রেমিকাকে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শেরে বাংলা নগর থানা এলাকায় দেখা করতে বলে। ওই কিশোরী দেখা করতে এলে হৃদয় তাকে ফাহাদ শেখ পিয়ালের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে হৃদয় কিশোরীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। অচেতন অবস্থায় আসামিরা কিশোরীকে পালাক্রমে ৬ দিন ধরে ধর্ষণ করে। ২৭ নভেম্বর ভিকটিম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় আসে। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারকালে আদালত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।