পল্লী সঞ্চয়ের ২৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ২৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিভাগীয় কার্যক্রম কেন নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট পদে বেআইনি নিয়মিতকরণের প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হওয়াকে বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদেশের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০২২ সালের ১৮ মে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পদে নিয়োগের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২৩ জন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ২০২৩ সালের ১০ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে বিভিন্ন সময় এবং একজন সিস্টেম অ্যানালিস্ট ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি যোগদান করেন।

২০২৪ সালের ৭ আগস্ট তাদের শিক্ষানবিশকাল শেষ হওয়ার আগেই, ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (কর্মকর্তা/কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা, ২০২২ প্রবিধি ৬ লঙ্ঘন করে ২ বছর হওয়ার আগে/শিক্ষানবিশ শেষ হওয়ার আগে চাকরি স্থায়ী করার চিঠি মঞ্জুর করান। পরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিস্থিতির উল্লেখ করে সই করা অফিস আদেশটি বাতিল করেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থায়ী করার চিঠি অনুমোদনে বল প্রয়োগ ও আইন লঙ্ঘনের জন্য রমনা মডেল থানায় ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট একটি সাধারণ ডায়েরি করেন; যার নং ৩৫২।

ওই বিষয়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও রহমত নামে দুই কর্মকর্তা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ করেন। অভিযোগ নিষ্পত্তি না করায় রিট দায়ের করা হয়।