বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে বলে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে সই করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই অফিস আদেশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বিবিদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে এই মামলায় বিনা পয়সায় লড়েছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের পক্ষে সই করা অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল ডিএমপির এক অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যার বেশি। এসব মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে আসামি গ্রেফতারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোদী মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে পাওয়া কোনও আসামি গ্রেফতার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।