ঘুষ-অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী আদালতের বেঞ্চ সহকারী বরখাস্ত

রাজশাহীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে ঘুষ গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি ‘সংবাদ ২৪ ঘণ্টা’ নামে একটি স্থানীয় অনলাইন মিডিয়ায় রাজশাহী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রচারিত হয়। প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবা প্রদানে যে কোনও দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট ওই বেঞ্চ সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেয়। এছাড়া, ৩০ দিনের মধ্যে ওই বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্নপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা জজ, রাজশাহীকে নির্দেশনা প্রদান করে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

এছাড়াও অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচারসেবা সহজীকরণসহ পেশাগত কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন বর্জন ওই ১২ দফা নির্দেশনার অন্যতম। এছাড়াও, প্রধান বিচারপতি তার ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জুডিসিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনার সিরিজে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে প্রধান বিচারপতি জেলা আদালতগুলোতে তার ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা আদালতে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুরূপ নির্দেশনাবলী জারি হয়েছে।