আমলযোগ্য কোনও অপরাধ ঘটলে অবশ্যই মামলা নিতে হবে, কোনও ঘটনা আড়াল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, ‘মামলার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মার্চ-২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “অপরাধ যাতে না ঘটে সেজন্য আরও বেশি প্রতিরোধমূলক পুলিশি কার্যক্রম বাড়াতে হবে। আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলে ছিনতাই অনেকাংশে কমেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেন ছিনতাইয়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
তিনি থানাগুলোতে মামলা নিষ্পত্তির হার ও ওয়ারেন্ট তামিল বাড়ানোর ওপর জোর দেন। পাশাপাশি পুলিশের সদস্যদের সর্বোচ্চ বিনয়ী হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কোনও অবস্থাতেই দৃষ্টিকটু বা অপেশাদার আচরণ গ্রহণযোগ্য হবে না।”
রমজান, ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য ডিএমপির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিটি থানার ওসিকে মামলা তদন্তে সরাসরি যুক্ত থাকতে হবে এবং টহল টিমের মাধ্যমে থানা এলাকার প্রতিটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।”
গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অপরাধ দমন কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ডিবিকে (গোয়েন্দা পুলিশ) আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করে অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেফতার কার্যক্রম চালাতে হবে।”
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন মার্চ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতির পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন। তিনি ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেন।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানে বিশেষ অবদানের জন্য ডিএমপির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন কমিশনার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-কমিশনাররা, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা।